দু’দিনের বনধে অশান্ত হয়েছিল সিকিম (Sikkim News)। কিন্তু, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। শনিবার দুপুরের পর থেকেই যানচলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে রবিবার অনেকটাই স্বস্তিতে পর্যটকরা। অনেকেই অশান্তির জেরে সিকিমে আটকে পড়েছিলেন। সিকিমেরর বিরোধী দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (Sikkim Democratic Front ) নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার বনধের ডাক দেন। জানা গিয়েছে, কর সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলে সিকিমের নেপালিরা ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত।’ এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে সিকিম সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কার্যত উত্তাল হয়েছিল সিকিম। বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন সিকিম। শীতের মরশুমে সেখানে পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ থাকে। এদিকে এই দুই দিনের বনধের প্রসঙ্গে জানতেন না অনেকেই। ফলে তাঁরা সেখানে আটকে পড়েছিলেন। এরইসঙ্গে কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে শিলিগুড়িতে ফিরছিলেন। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরাও পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন। শনিবার সকালে চিন্তায় পড়েন গাড়ি চালকেরা। সিকিমে গাড়ি নিয়ে যেতে চাইছিলেন না অনেকেই। কারণ এক্ষেত্রে মাঝ রাস্তায় গাড়ি আটকে দিলে কী হবে! এই চিন্তায় ভুগছিলেন গাড়ি চালকদের একাংশ।
Sikkim Tourism : উত্তপ্ত সিকিমে বিপাকে পর্যটকরা, চড়া গাড়িভাড়া দিয়ে শিলিগুড়ি ফেরার হিড়িক যদিও শনিবার পর্যটকদের গাড়ি আটকানো হয়নি। এরপর থেকে দুপুরের পর স্বাভাবিক হয় গাড়ি চলাচল। সিকিম থেকেও বাস এবং গাড়ি চলাচল করছে। ফলে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারছেন গন্তব্যে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁরা। রবিবার সকালেও শিলিগুড়ি থেকে পর্যটকদের গাড়ি, বাস সিকিমে গিয়েছে। জংশনে সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট স্ট্যান্ড থেকেও ছেড়েছে বাস। সেখানকার কর্মীরা জানান, বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি যান চলাচলে। বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিন সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে ফেরেন চন্দন সরকার নামে এক পর্যটক। তিনি জানান, বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিলিগুড়ি পৌঁছতে কোনও অসুবিধা হয়নি। প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন বনধের জন্য কোনও বিপাকে পড়তে হবে কিনা। কিন্তু, অবশেষে অশান্তির কিছু ঘটেনি। নিশ্চিন্তেই ফিরতে পেরেছেন তিনি।