Bankura News : রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের গুনগত মান যাচাই ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation)। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation) বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় আসার আগেই জোর বিপত্তি বাঁধল মিড ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া (Bankura) জেলার শালতোড়া (Shaltora) ব্লকের চাঁদড়া কল্যান সংঘ হরিজন উচ্চবিদ্যালয় স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিলের রান্না করে আসছেন দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self Help Group) সদস্যরা। এই কারনে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যান্য গোষ্ঠীর মহিলারা। অপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই কেবলমাত্র দুটি গোষ্ঠীকে রান্না করার কাজে নিয়োজিত করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ। অপর কোনও গোষ্ঠীকে রান্নার করার কোনও সুযোগই দেওয়া হয় না।

Midday Meal Scheme : নোংরা জলেই মিড ডে মিলের রান্না! অভিযোগ তুলল খোদ স্কুল কর্তৃপক্ষই
অন্যান্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self Help Group) মহিলাদের অভিযোগ, মিড ডে মিল প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলে দুর্নীতি চলছে এবং যে গোষ্ঠীগুলি এখন রান্না করার কাজে নিয়োজিত আছে, তারা কোনও কিচ্ছু হিসাব চায় না। এই সুযোগে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্য গোষ্ঠীগুলিকে এই সুযোগ পাইয়ে দিলে তারা সব হিসাব চাইবে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ, তার জন্যই তাদেরকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আজ এই অভিযোগ তুলে প্রায় ১৫ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্কুল চত্বরে হাজির হয়ে মিড ডে মিলের রান্নাঘরে এবং স্টোর রুমেও তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি এই ইস্যু নিয়ে তারা একাধিকবার প্রশাসনিক স্তরের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। যতক্ষণ না এর কোনও সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে তাদের এই বিক্ষোভ চলবে।

Midday Meal Scheme : মিড ডে মিল খেয়ে-ঘুরে হাল জানল জে আরএম
এই বিষয়ে বিক্ষোভরত এক মহিলা জানান, “আমাদের এই বিক্ষোভ আজকে হঠাৎ করে না। আমরা বহুদিন ধরে প্রশাসনিক স্তরে হোক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নিবেদন করেছিলাম, যাতে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই রান্না করার সুযোগ পায়। কিন্তু কোনও আবেদনেই কোনও কাজ হয়নি। দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই অনেকদিন ধরে রান্না করে যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। তাই আজ আমরা কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা একসঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি”। তবে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এদিকে স্থানীয় শালতোড়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মানস কুমার গিরি জানান, “বিষয়টা পুরোটা শুনলাম, তদন্ত করে দেখছি। কেন এইরকম বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বলতে পারব না”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version