বৃহস্পতিবারই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠে আসে ভাটপাড়া থানার কাঁকিনাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে। ভাটপাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনে ঘোষপাড়া রোডের উপর স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা অমিতকুমার সাউকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
আর সেই ঘটনায় নাম জড়ায় আরেক তৃণমূল নেতা মন্নু সাউ ও তাঁর অনুগামীদের। বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাটপাড়া থানার পুলিশ এমনকি নামাতে হয় র্যাফও। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে একের পর এক গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। সোমবার জগদ্দলে সংসদ অর্জুন সিংকেও (Arjun Singh) বলতে শোনা যায়, তিনি ঘাসফুলে ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যতদিন ছিলেন, তার মধ্যে দলে অনেক ‘অ্যাক্সিডেন্টাল নেতা’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। শাসকদলের সাংগঠনিক এই দুর্বলতার মাঝেই জায়গা খুঁজে নিচ্ছে বিরোধীরা। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে এদিন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “ভাটপাড়ায় তো আমরা সকালেই উঠে দেখি, বোমা পড়ছে। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরা বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলছে। অনেক আহত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। এটাই তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সরকার না যাওয়া অবধি মানুষের শান্তি নেই।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নৈহাটি মণ্ডল-৩ ডাকে কাঁচরাপাড়ায় একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরায় গিয়ে জোরদার প্রচারের বিষয়েও এদিন সমালোচনা করেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা। তাঁর কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ত্রিপুরায় গিয়ে প্রচার করলেও নির্বাচনে তাঁর প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রী ‘মিথ্যা’ প্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা।