গত বুধবার রাতে মাদক কারবারে জড়িত রনি শেখকে চররাজাপুর থেকে গ্রেফতার করে রানিনগর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার ভোরে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে পুলিশ লকআপে অসুস্থতার ভান করে রনি। লকআপ থেকে বার করে তাকে থানার বেঞ্চে রাখা হয়। পুলিশের উদাসিনতার সুযোগে থানা থেকে চম্পট দেয় রনি শেখ। লকআপ থেকে বার করার পর নিয়ম অনুয়ায়ী অভিযুক্তের হাতে হাতকড়া পড়ানোই পুলিশি নিয়মে পড়ে। নজরদারির জন্য একজন সশ্রস্ত্র পুলিশও তার সামনে মোতায়েন রাখা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়ে কোনও নিয়মেরই ধার ধারেনি কর্তব্যরত পুলিশ বলে অভিযোগ। সে সময় সেনট্রিই বা কোথায় ছিল ? এইসব প্রশ্নের উত্তরের উপরই নির্ভর করছে রানিনগর থানার কোর্টবির্ট পুলিশ আধিকারিকদের ভবিষ্যৎ।
পাশাপাশি দোষী সাব্যস্ত পুলিশের উপর শাস্তির খাড়া কীভাবে নেমে আসবে তাও নির্ভর করছে তদন্তের উপর। যদিও এখনও অভিযুক্তকে খুঁজে না পাওয়া রানিনগর থানা ও জেলা পুলিশের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পলাতক অভিযুক্তের হদিশ মেলাতে না পারায় চাপ ক্রমশ বাড়ছে। প্রসঙ্গত, রনি শেখকে বৃহস্পতিবার বহরমপুর আদালতে (Berhampore Court) হাজির করার কথা ছিল। তার আগে এদিন সকালে পুলিশ লকআপে ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়ে সে। চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বার করা হলে সুযোগ বুঝেই থানা থেকেই চম্পট দেয় রনি। পিছন পিছন তাড়া করেও তার কোনও নাগাল পায়নি পুলিশ। পরে জানা যায় পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেই অসুস্থতার ভান করেছিল রনি শেখ।