২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী স্কিম চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের সাধারণ মানুষের যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা না হয়। এই স্কিমের আওতায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে রাজ্যের বাসিন্দারা বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য জন্য পেতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও তারা এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ফেরানো নিয়ে এর আগে একাধিকবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দিলে সাধারণ মানুষকে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে সরকারের তরফে এই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক সরকারি সূত্র অনুসারে, গত ১৮ মাসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যানের অভিযোগের জন্য ১০২টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৩টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটারি কমিশন’।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এই জেলাগুলিতে থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবার জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। ইউরোলজি এবং নেফ্রোলজি সম্পর্কিত সমস্যার জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল সংশ্লিষ্ট বছরে। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিল বাবদ একটি মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সরকারি কর্মসূচি থেকে বার্তা দিয়েছিলেন, রাজ্যের কোনও নাগরিকের কাছে যদি স্বাস্থ্যসাথী থাকে সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।”