পার্থ চৌধুরী: পূর্ব বর্ধমানের রায়না এলাকার শুকুর গ্রামের বাজারে বুধবার গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ দুই তৃণমূল কর্মী। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রায়নার ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডলের ইঙ্গিত আক্রমণকারীরা সকলেই প্রাক্তন বিজেপি কর্মী। বর্তমানে তারা সকলেই অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট।

জানা গিয়েছে রায়নার নতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শুকুর গ্রামে বুধবার গভীর  রাতে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী বাবা ও ছেলে। ছেলের নাম মৃগাঙ্ক সিং ওরফে লালন এবং তার বাবার নাম বাদল সিং। দুজনকেই উদ্ধার করে পুলিস বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

রায়না ১ এর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বামদেব মন্ডল জানান; ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ধারবাহিক আক্রমণের মুখে এই মৃগাঙ্ক সিং দলের হয়ে লড়াই করেছিল। তাদের লড়াইতেই হিজলনা অঞ্চলে সংগঠন ধরে রাখা সম্ভব হয়। তার জেরেই এবারের বিধানসভার ভোটে জেতে শাসকদল’। তার অভিযোগ; সৌমেন রায় নামে এক ব্যক্তি এলাকায় দলের ক্ষতি করতে চাইছে। সে গত ভোটে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে  অজ্ঞাত কারোর হাত ধরে সে দলে আসে। তিনি কিছু জানেন না এই বিষয়ে।

আরও পড়ুন: Cooch Behar. PWD: কোচবিহারের মাথাভাঙায় পূর্ত দফতরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান…

তার অভিযোগ দলের সক্রিয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই সৌমেন অপপ্রচার করে দলের ক্ষতি করছে। বুধবার সৌমেন রায়, হেমন্ত মাঝি, তরুণ রায়ের নেতৃত্বে মৃগাঙ্ক-র উপর আক্রমণ হয়। তাকে মারধর করা হয়। এর পরে থানায় এফআইআর করা হয়। এরপরে রাত নটা কুড়ি নাগাদ শুকুর বাজারে ওষুধ কিনতে এলে তাদের উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এতে মৃগাঙ্ক সিং এবং তার বাবা বাদল সিং এর পায়ে গুলি লাগে। রাতেই তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। 

আরও পড়ুন: Jatu Lahiri: ৫ বারের বিধায়ক, প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি

বামদেব মন্ডল জানান, এলাকায় শান্তি বজায় রেখে তারা কর্মীদের শান্ত রাখতে  চাইছেন। দলের উপর তাদের আস্থা আছে। তবে কে ওই আক্রমণকারীদের মদত দিচ্ছেন তা এলাকার মানুষ জানেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version