শুক্রবার সেরকমই ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট সিবিআই আদালতে জমা করল সিবিআই। এর পাশাপাশি তদন্তে নেমে কঙ্কালীতলার একটি জমির নথি ও পেয়ে তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেটিও আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হয়েছিল। তবে তাঁর তরফে জামিনের কোনও আবেদন না হওয়ার কারণে আদালত তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে হদিশ মেলা ৪৪৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১১৫টি অ্যাকাউন্টের লেনদেনের নথি আদালতে পেশ করে সিবিআই। লেনদেন দেখে কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে বারবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে জমা করা হয়েছে। ঘুরপথে মূল পাঁচটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠানো হয়েছে। সেই পাঁচটি অ্যাকাউন্টও ভোলেব্যোম রাইস মিলের হতদরিদ্র শ্রমিকের।
গোরুপাচার মামলার তদন্ত যতই এগোচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল নেতার বিপদ ততই বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন কেষ্টেকে আদালতে পেশ করা হলেও তাঁর জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। সিবিআইয়ের তরফে অনুব্রতর জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়। দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর আদালত পুনরায় তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে গোরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনেরও এদিন শুনানি ছিল। সায়গল বর্তমানে তিহাড় জেলে। তাই তিহাড় জেল থেকে ভার্চুয়াল শুনানি হয় তাঁর। জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন সায়গলের আইনজীবী শেখর কুন্ডু।
সায়গলের আইনজীবী দাবি করেন, গোরুপাচারে মূল অভিযুক্ত এনামূল হক ও বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী তাঁর মক্কেলকে কেন এতদিন জেলে কাটাতে হবে? এদিন বিচারক সায়গলের জামিনে আবদেন খারিজ করে তাঁকে ৩ মার্চ অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।