কিন্তু, এরপরেও যদি সরকারের তরফে DA নিয়ে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ করা হয় সেক্ষেত্রে লাগাতার কর্মবিরতির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে আন্দোলনরত কর্মী কিংকর অধিকারী বলেন, “শহিদ মিনারের পাদদেশে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ আজ ২৩ দিনে পা দিল, অনশনের নয় দিন। প্রতিদিনই প্রতিবাদে সামিল হওয়া সরকারি কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা দুই দিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। যদি এরপরেও রাজ্য DA নিয়ে আমাদের দাবি না মানে সেক্ষেত্রে আমরা লাগাতার কর্মবিরতির পথে হাঁটব।” এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনায় গত সোমবার ভোররাতে দুই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের একজন ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সঞ্জিত চক্রবর্তী ও অবরসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবার আন্দোলনকারীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ধরনাস্থলেই থাকছেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। কোনও সময় মেডিক্যাল এমার্জেন্সি হলে যাতে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা পান তা লক্ষ্য করার জন্যই এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়েও DA আন্দোলেনর আঁচ গিয়ে পড়ে। আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয় শিক্ষক সমিটির তরফে এক ঘণ্টার কর্ম বিরতির ডাক দেওয়া হয়। একই চিত্র দেখা যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও পরীক্ষা চলাকালীন কর্মবিরতি করা হবে না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিধানসভা বাজেটে রাজ্যের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৩ শতাংশ অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, এরপরেই কার্যত ফুসে ওঠে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
‘ভিক্ষে দেওয়া হয়েছে’ এই দাবিতে সরব হন তাঁরা। এদিকে শুক্রবার DA নিয়ে আন্দোলনকারীদের তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি নষ্ঠ করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, DA মামলায় জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কী নির্দেশ দেয়, সেই দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীরা।