এই আইন অনুযায়ী এবার থেকে অশান্তির নাম করে রাজ্য সরকারের অথবা ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করলে অপরাধীর সম্পত্তি attached করে ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। বিরোধীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের পথে হেঁটে এই আইন আনল বাংলার সরকার। ২০১৯ সালে CAA বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে এই আইন আনে যোগী সরকার।
বাংলায় একাধিক সময়ে আন্দোলনকারীদের প্রদর্শনের জেরে বিপুল পরিমাণে সরকারী সম্পত্তির ক্ষতির নজির দেখা গিয়েছে। বাস, রেল স্টেশনে ভাঙচুর, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ভাঙচুরের জেরে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় সরকারকে। পরিষেবার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। এই প্রবণতা রোধ করতেই এই সংশোধনী আনল রাজ্য সরকার।
কী সংশোধন আনা হল আইনে?
রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, বাংলার এই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধনী) উত্তরপ্রদেশে আন্দোলন বিরোধী আইনের থেকে অনেক আলাদা। বিস্তারিত ব্যাখায় তিনি বলেন, এই আইনে রাজ্য সরকার চাইলেও যে কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব নয়। সমস্ত কিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে সম্পত্তি সিজের আবেদন করা হবে। ১৮০ দিনের মধ্যে অন্তর্বতী রিপোর্ট জমা পড়ার পর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
তবে, অভিযুক্তকেও নিজের স্বপক্ষে বলারও সুযোগ দেওয়া হবে। একইভাবে রাজ্য সরকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ১৮০ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে না পারলে অভিযুক্তকে সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে। নইলে ছয় মাসের মধ্যে সেই সম্পত্তি নিলাম করে ক্ষতির টাকা পূরণ করতে হবে। এর আগে আইন অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তের জেলের সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ছয় মাস।