জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের একটি উৎসব কমিটির সদস্যরা চাঁদা না পেয়ে ফোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন। সেই নিয়েই টেলিফোনে উত্তপ্ত বাক্যালাপ সীমা ছাড়ায়। ঘটনায় অভিযোগ, বর্তমান তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে চরম হুমকিও দেওয়া হয়।
কারা করেছিলেন ফোন
দাবি ফোনটি করেছিলেন, নন্দীগ্রামের ভূতামোড় সাথী উৎসব কমিটির সদস্যরা। তাদের সঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রের মধ্যে হওয়া টেলিফোনিক বাক্যালাপের রেকর্ড ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে এই অডিয়োর সত্যতা খতিয়ে দেখেনি এই সময় ডিজিটাল।
কী কথা ফোনে?
ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো রেকর্ডে নন্দীগ্রামের ভূতামোড় সাথী উৎসব কমিটির ওই সদস্যরা নিজেদের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। তাই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে চাঁদার দাবিও জানিয়েছিলেন।
এদিকে জেলা সভাপতি অনুষ্ঠানে যেমন যাননি, তেমনি চাঁদাও দেননি। এদিকে উৎসব চললেও টান পড়েছে । তাই খানিকটা বাধ্য হয়ে এবং অনেক আশা নিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন ওই ক্লাব সদস্যরা বলে দাবি করেন ফোনে।
ফোনে ক্লাব সদস্যরা দাবি করেন, আগে দলের তৎকালীন নেতার তরফে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে চাঁদা মিলত। কিন্তু, এবার দল থেকে কোনও সাহায্যই মিলল না। আক্ষেপের সুরে জেলা সভাপতিকে এ কথা বলতে শোনা যায় উৎসব কমিটির সদস্যদের।
উত্তপ্ত বাদানুবাদের কারণ
পূর্বসূরীর নাম শুনেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সৌমেন মহাপাত্র। ভাইরাল অডিয়োর কথোপকথন অনুযায়ী তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র তাঁদের পূর্বসুরীর দল চলে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপরই শুরু হয় উত্তপ্ত গরমাগরম বার্তালাপ। পালটা জবাবেও চড়া সুর ক্লাব সদস্যদের। ভাইরাল অডিয়োয় শোনা যায় দেখে নেওয়ার হুমকি ফিরিয়ে দিচ্ছেন উৎসব কমিটির সদস্যরা। আর সেই বাক্যালাপের অডিও রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।