জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই পাঁচ জনের দেহে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) সংক্রমণ রয়েছে কিনা মূলত তাই খতিয়ে দেখতে নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন যুক্ত শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এই বিষয়ে জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতিই যে সন্তোষজনক, আবার পুরোটাই যে বিপদজনক তা নয়।
তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কড়া নজরদারি রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে যাতে বাড়িতে কারোর বিশেষ করে শিশুদের জ্বর সর্দি কাশি হলে যেন বাড়িতে ফেলে না রাখেন”। আপাতত চোখরাঙানি নেই করোনার।
কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার মতো রূপ বদলে ভয়ঙ্কর হচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসও। আর সেই কারণেই, পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে না অনেক শিশু।বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর, তাঁদের ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ICU থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তখন কাউকে কাউকে আবার ভেন্টিলেশনেও রাখতে হচ্ছে। নতুন করে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, করোনার মতন অ্যাডিনো ভাইরাসও ভ্যারিয়েন্ট বদলে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর।
যার জেরে জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। শিশুদের নিয়ে যখন চিন্তার শেষ নেই, তখন বড়দের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকেই আসছেন, যাঁরা প্রায় এক মাসের উপর কাশির সমস্যায় ভুগছেন। অ্যাডিনো উদ্বেগের মধ্যে শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে, বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে, কোনও অসুস্থ শিশু, জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে এলে, অভিভাবকদের কাছ থেকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হবে মেডিক্যাল আধিকারিকদের। শারীরিক অবস্থা বুঝে শিশুটির চিকিৎসা বাড়িতে রেখে হবে, না হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন রয়েছে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন মেডিক্যাল অফিসাররাই।