ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০টি হাতিকে ধরার অনুমতি পেয়েছে রাজ্য। যে সব হাতি অস্বাভাবিক আচরন করছে সেই হাতিগুলিকে ধরা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩টি হাতিকে ধরা হয়েছে।
বাকি কোনও হাতি স্বভাব বিরুদ্ধ আচরন করলে বা আক্রমন চালালে তাঁকেও ধরা হবে। রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনে দক্ষিন বঙ্গের জেলাগুলির DFO ও ADFO ও উচ্চ বনাধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ন বৈঠকে যোগ দিতে এসে এই বিষয়ে জানালেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, “দল থেকে ছিটকে যাওয়া হাতি মানুষের উপর আক্রমন চালাচ্ছে। একা হয়ে এরা মানুষকে আক্রমন করছে, মেরে ফেলছে। সেই হাতিগুলিকে ট্র্যাক করে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর।” মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘাত কমাতে সেই সব আক্রমনাত্মক হাতিগুলিকে ধরা হবে জানালেন প্রধান মুখ্য বনপাল।
এদিন তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই তিনটি হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে ধরা হয়েছে। তাদের গভীর জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে। এমনি কোনও হাতি আক্রমন চালালে সেই হাতিকেও ধরে পাঠানো হবে গভীর জঙ্গলে।” প্রধান মুখ্য বনপাল বলেন, “লোনার হাতি মূলত আক্রমন চালায়। সেগুলিকে ধরা হলে আক্রমন ও মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হবে।”
এদিন তিনি বলেন, “দক্ষিন বঙ্গে মোট হাতি রয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টি। আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যে এই হাতি গুলিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওডিশা ও ঝাড়খন্ডের দিকে সরানোর চেষ্টা করা হবে।” শুধু বাঁকুড়া জেলা নয়, এই হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও।
ইতিমধ্যেই হাতির আক্রমনে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেঙে গিয়েছে বাড়ি ঘর। হাতি সমস্যা সমাধানের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধান মুখ্য বনপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিনবঙ্গের পাঁচজন মুখ্য বনপাল সাতজন DFO এবং সহকারী DFO সহ প্রায় ৫০ জন আধিকারিক।