হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই প্রথম নিউরো সার্জারিতে সাফল্য পেল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতদিন ধরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে এ ধরনের কোনও অস্ত্রোপচার সম্ভব ছিল না। নিউরো সংক্রান্ত অস্ত্রোপ্রচারের ক্ষেত্রে রোগীদের ছুটতে হতো শিলিগুড়ি অথবা কলকাতা।
অবশেষে অবাস্তবকে বাস্তব করে দেখাল মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন সাহা (৬০) গত ২৩ দিন আগে গাছ থেকে পড়ে জখম হয়েছিলেন। তাঁর কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল।
তার চিকিৎসা চলছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। নিউরো সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছিল ওই মুমূর্ষ রোগীর। বুধবার সকালে মালদা মেডিক্যাল কলেজের তরফে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।
বিশিষ্ট নিউরো সার্জেন্ট ডঃ অশোক কুমার আচার্য্যের নেতৃত্বে গঠিত হয় টিম। এরপর প্রায় ৬ ঘন্টার প্রচেষ্টায় এই সার্জারিটি হয়। এখন রোগী অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
ডঃ আচার্য্য বলেন, “এর আগেও একটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল, কিন্তু সেখানে ইমপ্ল্যান্ট রোগীর পরিবারের তরফে কিনে দেওয়া হয়েছিল। এবার হাসপাতালে তরফেই সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী দিনেও এরকম আরও অস্ত্রোপচার এখন থেকে করা যাবে।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সাধারণত এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হতো। কিন্তু মালদা মেডিক্যাল কলেজে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বিশেষ সুযোগ পেয়েছে ওই রোগী ও তাঁর পরিবার।
অস্ত্রোপচারে পর চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমার মামা পেয়ারা গাছ থেকে পড়ে যায়। এখানে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিসকদের আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই। ওঁদের জন্যেই আজকে আমার মামা সুস্থ হতে পেরেছে।”