কিন্তু, অটো চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে কার্যত চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। নাম উঠে আসে ডানলপ থেকে ব্যারাকপুর রুটের তৃণমূল অটো ইউনিয়নের নেতা অজিত সাউয়ের। এই অটো চুরির ঘটনায় তিনি জড়িত থাকতে পারেন, উঠে আসে সেই বিষয়টিও। এরপরে খড়দা স্টেশন রোডে নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে অভিযান চালায় পুলিশ।
খড়দা স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অজিত সাউকে। তাঁর সঙ্গে থাকা অটোটি কার? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। স্থানীয় BJP নেতা জয় সাহা ঘটনার নেপথ্যে বিরাট চক্রের যোগ দেখছেন। তিনি বলেন, “রুটে চলা অনেক অটোই বেনামি। তাদের কাছে সঠিক নথি নেই।”
তাঁর আরও সংযোজন, “এভাবে অটো গায়েব হয়ে যাওয়া এবং তা গায়ের জোরে অন্য রুটে চালানো একটা বিরাট চক্র। হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এই তৃণমূল নেতা। এই চক্রের সঙ্গে তৃণমূলের অন্যান্য রুটের ইউনিয়ন নেতারাও জড়িত।”
এদিকে এই অভিযোগের পালটা সরব হয়েছেন খড়দা পুরসভার উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার। তিনি বলেন, “কারা এই অভিযোগ তুলেছে সেই বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিশ প্রশাসন কাজ করুক, আসল সত্যিটা সামনে আসা প্রয়োজন।”
অন্যদিকে, অজিত সাউ কি তৃণমূল অটো ইউনিয়নের সম্পাদক? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি দলের দায়িত্বে নেই। দলের সভাপতিও আমি নই। এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
এদিকে স্থানীয় এলাকায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। অটো নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। চার জনের বদলে পাঁচ জন যাত্রীকে নিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চলছে অটো, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সোদপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “অটো নিয়ে এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় সুযোগ বুঝে কিছু অসাধু অটোওয়ালা বেশি টাকা ভাড়াও দাবি করেন।”