ঘেরা জায়গায় অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব। বুধবার ছিল চলতি বছরের মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা।
তারই মধ্যে হাওড়ার বাকরা এলাকায় তারস্বরে বক্স বাজিয়ে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের অনুষ্ঠান চলার অভিযোগ। আর সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারী ও ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গাওয়া হল গান। একের পর এক বক্তৃতা রাখলেন তৃণমূল নেতারা। দুয়ারে সরকারের প্রচারের পাশাপাশি মানুষের পাশে থেকে কর্মীদের লড়াই করার নির্দেশ দেওয়া হল। মাধ্যমিকের মধ্যেই এ ধরনের অনুষ্ঠান করায় সরব BJP নেতৃত্ব।
হাওড়া সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটা দল যারা নিয়মকানুন আইন কিছু মানে না। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে আবার পরীক্ষা চলাকালীন বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করে পরীক্ষা দেওয়ার পরিবেশ নষ্ট করে। অথচ এই সরকার নিয়ম করেছে যে পরীক্ষার কদিন প্রকাশ্যে মাইক বাজানো যাবেনা। এই হচ্ছে তৃণমূলের সংস্কৃতি।”
তবে ঘেরা জায়গায় নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ডোমজুর কেন্দ্রর বিধায়ক তথা হাওড়া সদরের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ জানান ঘেরা জায়গায় অনুষ্ঠান হয়েছে। ভিতরে বক্স বাজানো হয়েছে।রাস্তায় কোনো মাইক ব্যবহার করা হয়নি। সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছিলাম, এরপরেই আমি বক্স বন্ধ করে দিতে বলেছি।”
এর আগেও রবিবার হাওড়ায় একটি অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। রবিবার আলাদাভাবে দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বালির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ডা. রানা চট্টোপাধ্যায়। সমবায়মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে উদ্যোক্তারা যখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখনই তিনি তাঁদের জানিয়ে দেন সভাস্থলে কোনওভাবেই মাইক বাজানো যাবে না।
আর যদি মাইক বাজে তবে তিনি যাবেন না। অনুষ্ঠানে মাইক ছাড়াই এদিন বক্তৃতা দেন মন্ত্রী। এরপর ডোমজুড়ের অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার জন্য সমামলোচনা করতে ছাড়েনি BJP নেতৃত্ব।