তফাৎ একটাই, কলকাতা বইমেলা ছিল আদালত চত্বরের বাইরে। শনিবার পুরুলিয়া জেলা সফরে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারকগণ। এদিন পুরুলিয়া আদালত ঘুরে দেখেন অভিজিৎবাবু। কথা বলেন পুরুলিয়া আদালতের আইনজীবীদের সঙ্গে।
সেখানেই পুরুলিয়া আদালতের আইনজীবীদের ‘সেলফি’ আবদারের সামনে পড়তে হয় বিচারপতিকে। এই মুহূর্তে ‘তারকা’ বিচারপতিকে সামনে পেয়ে পরপর সেলফি তুলতে থাকেন আইনজীবীরা। তবে সূত্রের খবর, তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যরা এই সেলফি পর্ব থেকে দুরেই ছিলেন। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতেও দেখা যায়নি তাঁদের।
উল্লেখ্য, ফি বছরই পুরুলিয়া জেলা আদালতে আসেন উচ্চ আদালতের কোনও না কোনও বিচারপতি। তবে এবার সেটা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হওয়ায় সেটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। এদিন তিনি ট্রেন পথে পুরুলিয়া স্টেশনে পা রাখেন। পুরুলিয়া জেলা আদালতে নতুন ভবন ঘুরে দেখেন।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটা ছোট্ট বৈঠকও করেন তিনি। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় পুরুলিয়া জেলা আদালতে কাটিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উদ্বোধন করেন একটি পানীয় জল প্রকল্পের। যদিও তিনি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন প্রশাসনিক কাজেই তার এই জেলা সফর। তাই অন্য কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেবেন না।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর। এই বিষয়ে পুরুলিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উচ্চ আদালতের নিয়ম অনুযায়ী জ়োনাল জাজ হিসেবে অভিজিৎবাবু এসেছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাঁর এই সফরের সঙ্গে অন্যান্য রায় বা মামলার কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে বার অ্যাসোসিয়েশন যাই বলুক না কেন, পুরুলিয়া আদালত চত্বরে উপস্থিত আইনজীবীরা যেভাবে এদিন বিচারপতিকে ঘিরে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তাতে গোটা রাজ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা কিভাবে হুহু করে বাড়ছে, তা দেখাই যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজ্যের আইনজীবী মহল। আর এই জনপ্রিয়তা যে বিচারপতির সাম্প্রতিক রায় বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই, তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন সকলেই।