৩,১১৫ জনের মধ্যে ৭০-৮০ জনের নম্বর কমানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ এঁরা ‘যোগ্য’ হওয়া সত্ত্বেও নম্বর কমিয়ে ‘অযোগ্য’ করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ৩৬২ জনের ওএমআরে কোনও বিকৃতি নেই বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলে ২০১৬-র গ্রুপ সি পদের (শিক্ষাকর্মী) আরএলএসটি পরীক্ষায় যে প্রার্থীরা বসেছিলেন, তাঁদের অনেকের ওএমআর শিটে গোলমাল রয়েছে বলে অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালত এসএসসিকে নির্দেশ দেয়, সন্দেহজনক ওএমআর শিট ফের খতিয়ে দেখে তা প্রকাশ করতে হবে।
সেই তালিকা প্রকাশ করার পরে এখন প্রশ্ন – নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি-র পরে এ বার কি চাকরি হারাতে চলেছেন গ্রুপ সি কর্মীদের একাংশও? কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ওয়েবসাইটে তালিকা আপলোড করা হয়েছে। আদালতই জানাবে, পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ করতে হবে।’
গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, আড়ালে থাকা ও নম্বর কারচুপি করা সব উত্তরপত্র অবিলম্বে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে। এই কাজ সম্পূর্ণ করতে কমিশনকে সময়ও বেঁধে দেন তিনি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তালিকা আপলোড করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে এ দিন বিকেলে তা প্রকাশ করেছে এসএসসি।