Recruitment Scam in West Bengal: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইফস্টাইল নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল খোদ দল, দাবি তৃণমূল বলাগড় ব্লক নেতৃত্বের।

বলাগড় ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি তপন দাসের দাবি, ”শান্তনুর লাইফ স্টাইল নিয়ে বিড়ম্বনায় ছিল দল। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি ছিল না,তাই কথা শুনতে হত। শান্তনু না থাকায় দল চাঙ্গা হবে।”

জানা গিয়েছে, অগাধ সম্পত্তির মালিক হুগলির বলাগড়ের জেলা যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ধাবা, রিসর্ট, হোম স্টে, অভিজাত জায়গায় একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, মার্সিডিজ সহ একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়। অভিযোগ, এছাড়া বেনামেও নাকি রয়েছে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।

Manoranjan Bapari on Shantanu Banerjee: ‘নির্বাচনের সময় শান্তনু কোনও সাহায্য করেনি’, অভিযোগ বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর
২০০৫ সাল থেকে মোবাইলের সিম কার্ডের ব্যবসা করতেন শান্তনু। পরে চাকরিরত অবস্থায় বাবার মৃত্যুতে বিদ্যুৎ দফতরের চাকরি পান ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা। কিন্তু সামান্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে শান্তনুর গত কয়েক বছরের মধ্যে যেভাবে সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে উঠেছে তা অবিশ্বাস্যভাবে চোখে পড়েছে সকলের। ২০১৮ সালে ভোটে জিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ নির্বাচিত হন। তারপরই তাঁর অবিশ্বাস্য উত্থান। একজন সাধারণ বিদ্যুৎ দফতরের কর্মচারী হয়ে তার জীবন যাপন ছিল রাজকীয়। দামি গাড়ি, বাড়ি, রেস্টুরেন্ট, রিসর্ট, হোমস্টে, জমি জায়গা, ফ্ল্যাট এত কিছু কি করে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলাগড়ের বিরোধী বিজেপি থেকে সাধারণ মানুষ। সেই সুরেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল তৃণমূল সহ সভাপতি তপন দাসের গলায়।

Santanu Banerjee : রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান, কী ভাবে দুর্নীতিতে জড়ালেন হুগলির শান্তনু?

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ”আমি এক লাখ টাকা বেতন পাই। দশ লাখ টাকার গাড়ি চাপি আমি যদি মার্সিডিজ চাপি লোকে কথা বলবেই।” পাশাপাশি তপন দাসের দাবি, তিনি ২০১৬ সালে হুগলি জেলায় টেটের ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন। তখন চাকরির ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তবে তারপর কী হয়েছে তাঁর জানা নেই। শান্তনু চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলেছিলেন কিনা সেটা জানা নেই বলে দাবি করছেন বলাগড় ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি।

তবে কি দল থেকে শান্তনুকে বহিষ্কার করা হবে?

বলাগড় ব্লকের তৃনমূল সহ সভাপতি তপন দাস এ বিষয়ে জানান, এই মুহূর্তে শান্তনু দলের কোনও পদে ছিলেন না। তাই তাঁকে বহিষ্কার বা সাসপেন্ড করা হবে কিনা ব্লক নেতৃত্বের সে ব্যাপারে এক্তিয়ার আছে কিনা তা দলে আলোচনা সাপেক্ষ।

Santanu Banerjee : সিমকার্ডের দোকান থেকে ধাবা, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উত্থানে হতবাক পড়শিরা

উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষ আর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনই তৃণমূলের যুব নেতা। দুজনেই বলাগড়ের বাসিন্দা। তারা দুজনেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। কুন্তল ব্লকে বা জেলায় সেভাবে রাজনীতি না করলেও শান্তনুর একটা প্রভাব ছিল। জেলা যুব সভাপতি ছিলেন শান্তনু।
তবুও শান্তনু গ্রেফতারি পঞ্চায়েত ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান তপন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version