মা ও ছেলে মিলে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (Higher Secondary Exam 2023) একসঙ্গে বসতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, লতিকার বাপের বাড়ি নদিয়ার ধুবুলিয়াতে। মায়ের অসুস্থতার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি লতিকার। বিয়ের পর মেয়েকে পড়াতে গিয়ে ফের পড়াশোনা শুরু করার প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। পাশের বাড়ি মামা শ্বশুরের পরামর্শে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন লতিকা। ২০১৯-২০ সালে সেখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি।
মাধ্যমিক পাশের পর নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। আগামিকাল ছেলের সঙ্গে জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষা বসতে চলেছেন তিনি। সংসার ও পড়াশোনা সামলে পাশ করার বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা ছাড়াও আরও অনেকে তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে সাহায্য করেছেন।
পড়াশোনা করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় তাঁর শক্ত বলে মনে হলেও শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের সাহায্যে তিনি পেয়েছে। পাশাপাশি তাঁর ছেলে সৌরভও তাঁকে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করে গিয়েছে। বাড়ি বউমার এই আগ্রহ দেখে আনন্দিত লতিরার শ্বশুরমশাইও। তিনি জানিয়েছেন, বউমার আগ্রহ থাকলে তিনি আরও দূর তাঁকে পড়ানোর বন্দোবস্ত করবেন। লতিকাও জানিয়েছেন পড়াশোনার সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি তিনি অনেকেরই সাহা্য পেয়েছেন।
লতিকার ছেলে সৌরভ মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, “কালনা মহারাজ বিদ্যালয় থেকে আমি উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছি। আ মা আর আমি একসঙ্গে পরীক্ষা দেব ভেবে খুবই ভালো লাগছে। রান্না বান্না সেরে নিয়ে বিকেল ও রাতের বেলা মা পড়াশোনা করে। আমি আর মা একসঙ্গেই পড়াশোনা করেছি। ভাল ফল করার চেষ্টা করব। আমার মায়ের মতো যাঁরা পড়াশোনা করতে পারেনি, তাঁদেরকেও আবার শুরু করতে বলব।”