West Bengal News : গ্রুপ ডি পদে চাকরি যাওয়া এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম দিলীপ বিশ্বাস। কোচবিহার জেলার একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ২০১৯ সালের গ্রুপ ডি পদে বাতিল কর্মরত প্রার্থীদের মধ্যে নাম ছিল ওই ব্যক্তির। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শিলিগুড়ির গেটবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন জলপাইগুড়ি দোমহনী এলাকার বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাস। কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি দাড়িপন্তি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। খুব সম্প্রতি গ্রুপ ডি চাকরিরত প্রার্থীদের বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ হয়েতে তাতে এই দিলীপ বিশ্বাসের নাম ছিল।

SSC Scam: প্রাথমিকের পর Grp-C চাকরি বাতিল তালিকাতে নাম তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের
ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে খবর, চাকরি যাওয়ার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে তাঁর মৃত্যু কী কারণে হল সেটা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন। মৃত ব্যক্তির বাড়ি জলপাইগুড়ি দোমহনী মরিচ বাড়ি এলাকায়।

তবে তিনি দীর্ঘদিন থেকে শিলিগুড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদা সঞ্জীব বিশ্বাস। পরিবারের সদস্যরা জানান, অনুষ্ঠান হলেই তিনি বাড়িতে আসতেন। স্কুলে চাকরির পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি সংস্থাতেও কাজ করতেন।

Calcutta High Court: এবার গ্রুপ সি, ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
গতকাল রাতে শিলিগুড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের ফোনে জানানো হয়েছে, দীলিপ বিশ্বাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ আজ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

যদিও এই ব্যক্তি গ্রুপ ডি পদে কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সে সম্বন্ধে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পরিবারের লোকজন। তবে তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্টের (RLST) ভিত্তিতে গ্রুপ ডি পদে কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল।

SSC Recruitment Scam : গ্রুপ সি পদে চাকরি খোয়ালেন হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা, জোর বিতর্ক
OMR শিট বিকৃত করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করা হয়। সেই সব শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত ২ মার্চ থেকে নির্দিষ্ট পদে নতুন প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু হয়ে যায়। মূলত ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমান তালিকা থেকেই নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version