Recruitment Scam: হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সামনে এল আরও চমকপ্রদ তথ্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বলাগড়ের জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবার মৃত্যুর পর বলাগড়ের সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ দফতরে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অফিসে গিয়ে এই তৃণমূল নেতা কী করতেন সেই সম্পর্কে সামনে এল বিস্ফোরক দাবি।
অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি, এমনকী বদলিও নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রভাবশালী বলে এলাকায় পরিচিত এই নেতা কর্মক্ষেত্রেও বজায় রেখেছিলেন নিজের প্রভাব বলে দাবি।
এই গ্রুপ ডি কর্মীদের কাজ মূলত কাজ বাড়ি বাড়ি মিটার চেক করা অথবা নতুন কোন কানেকশন হলে তা জুড়তে যাওয়া। তবে এই দুটির মধ্যে কোন কাজই কোনদিন করতে দেখা যায়নি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে দাবি তাঁর সহকর্মীদের।
বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও তিনি জানান, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন ফিল্ডে বেরিয়ে কাজ করেননি। তবে মাসের একদিন এসে লগবুকে সই করে যেতেন। আবার কোনও কোনও সময় তার বাড়িও যেত লগবুক। তবে কাজে না এসেও মাসের পর মাস মোটা অঙ্কের মাইনে তুলতেন তিনি। তার কর্মস্থল সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ দফতরে আমাদের ক্যামেরা গেলে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ দফতরে চাকরির পাশাপাশি পুরোদমে দলের কাজ। গ্রুপ-ডি কর্মী হিসেবে বার্ষিক তিন থেকে ছয় লাখ টাকা মাইনে পাওয়া শান্তনুর নামে মিলেছে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি। রিসর্ট, ধাবা, গেস্টহাউস, বিলাস বহুল ফ্ল্যাট, বাংলো সহ একাধিক স্থাবর সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য, তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে শান্তনুর নাম।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে জিরাটের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে ‘দ্য স্পুন’ নামে একটি রেস্তরাঁ ও ধাবা চালু করেন শান্তনু। সেই ধাবার জমি নিয়েও বিতর্কের খোঁজ মিলেছে। যে জমিতে তৃণমূল নেতার ধাবা সেখানে চার পরিবারের বসবাস ছিল। তাদের অভিযোগ, জোর করে জমি নিয়ে অপছন্দের জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে।