শাসকদলের সব মাপের নেতানেত্রীদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী দলগুলি। নিরাপত্তা নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ করল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। তৃণমূলের ৪১ জন নেতানেত্রীর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সকল নেতানেত্রীদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া বা কমানো হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা। কমিশনারেটের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর থেকে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

নিরাপত্তা প্রত্যাহারের তালিকায় রয়েছেন নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং, অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং, উত্তর দমদমের কাউন্সিলর বিধান বিশ্বাস, জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত ছাড়াও আরও অনেকে। সূত্রের খবর. গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Dakshin 24 Pargana : প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে রাস্তায় ফেলে দেদার লাথি, জয়নগররে চরম উত্তেজনা
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘এটা একদম রুটিন বিষয়। প্রত্যেক বছরই হয়। নিরাপত্তা কার কেমন থাকবে, তা দেখার জন্য নির্দিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পরে গোটা বিষয়টি ঠিক হয়েছে।’ জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘থ্রেট’ কার ক্ষেত্রে কতটা কী রয়েছে, তা দেখেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়। দু বছর আগে কেউ সিকিউরিটি যা হারে পেত, ২০২৩ সালেও সে তাই পাবে তার কোনও মানে নেই! সব দিক খতিয়ে দেখা হয়।’

Siddiqullah Chowdhury : মদনের পর এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি সিদ্দিকুল্লার

এই প্রসঙ্গে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, “এটা প্রশাসনিক ব্যাপার, সম্পূ্র্ণভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুর শিলাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। এখানে অশান্তির কোনও কারণ নেই। থানা, পুলিশ ও প্রশাসন আরও শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এখানে বিজেপি তাণ্ডব করেছিল, ২০২১ সালের নির্বাচনের পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সেই কারণেই হয়তো প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

Hooghly News : দোলের দিন দুর্ঘটনা রুখতে হুগলির ঘাটগুলিতে বাড়ানো হল নজরদারি, প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকিংও
আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর নামও পুলিশের এই তালিকায় রয়েছে। তাঁর স্থানীয় ঠিকানা উত্তর ২৪ পরগণা হওয়ার কারণে তাঁর নামও এই তালিকায় রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে অর্জুন সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুরের বিভিন্ন এলাকা। আগের বছর অর্জুন তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। সন্ত্রাস সম্পূর্ণ বন্ধ না হলে, আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version