রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপচার্য নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের। কোনওভাবেই রাজ্যের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের নিয়োগ কিংবা পুনর্নিয়োগের ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। স্পষ্ট জানিয়ে দিল আদালত। মঙ্গলবার উপচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করার পর এমনই মন্তব্য করেছে আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল সরকার।

Calcutta High Court: এবার গ্রুপ সি, ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের

এখানেই শেষ নয়, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের সেক্রেটারির চিঠিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। যাদের কর্মকাল শেষ হওয়ার পর রাজ্য ফের নিয়োগ করেছিল, তাঁদেরও নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। তবে যাদের সময়কাল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য়ের কোনও এক্তিয়ার নেই।

Rabindra Bharati University: অবশেষে কাটল জট, নতুন উপাচার্য নিয়োগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে

শিক্ষামহলে বিতর্ক

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। তবে সেই সময়ের মধ্যেই ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Universities) স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে মনোনয়ন চেয়ে নানা মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। যা নিয়ে শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। উপাচার্য নিয়োগে আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চশিক্ষা দফরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিজ্ঞপ্তি মেনেই এই সার্চ কমিটি গড়া হয়েছে। কিন্তু ৬ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি ছাড়া। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধানসভায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংশোধনী এনে ইউজিসি-র বদলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। যা সুপ্রিম কোর্টের মতে অবৈধ।

DA Latest News West Bengal : এবার রাজ্যজুড়ে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’, DA-র দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ছে
উল্লেখ্য, এর আগে উল্লেখ্য, সোনালী চক্রবর্তীকে (Sonali Chakrabarty) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) উপাচার্য পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে তাঁর পুর্ননিয়োগের সিদ্ধান্তও খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে (Vice Chancellor post of Calcutta University) সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ ইউজিসি নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version