জানা যায়, কুশদদ্বীপ হাই স্কুলের ওই তিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল পাত্রসায়ের গার্লস হাইস্কুলে। কিন্তু তাঁরা ভুল করে বামিরা গুরুদাস ইনস্টিটিউট পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে আসে। এদিকে হাতে সময় তখন অল্প। কিভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে তাই ভেবে কুল পাচ্ছিল না ওই তিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই মুহূর্তে পাত্রসায়ের থানার OC বিদ্যুৎ কুমার পালের নজরে আসে এই ঘটনা।
তড়িঘড়ি তিনি নিজের গাড়িতে করে তাঁদের পাত্রসায়ের গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন এবং তাঁরা সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষায় বসতে পারে। বিদ্যুৎ বাবুর এই তৎক্ষণাৎ তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় ওই তিন পরীক্ষার্থী। এই ঘটনা নিয়ে বামিরা গুরুদাস ইনস্টিটিউটে উপস্থিত এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, “আমরা এখানে দেখি অন্য এক স্কুলের তিনজন পরীক্ষার্থী হাজির হয়েছে। অথচ ওই স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র এখানে ছিল না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই পরীক্ষার্থীদের ভুল ভাঙে, এবং এখানে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনা দেখে ওই পুলিশ অফিসার এগিয়ে এসে সমস্ত ঘটনা শোনেন, আর চটজলদি স্থির করেন যে নিজের গাড়িতেই ওই তিনজনকে যথাস্থানে পৌঁছে দেবেন। ওনার এই উদ্যোগের জন্যই আজ ওই তিনজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারল। নাহলে হয়ত সময়ের মধ্যে নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছতে পারত না”।
OC-র এই চটজলদি উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারন মানুষ। যদিও নিজের এই উদ্যোগকে বিশেষ কৃতিত্ব দিতে বা এই নিয়ে বেশি কিছু কথা বলতে বিদ্যুৎ কুমার পাল রাজি হননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “এগুলি আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে”। ২০২৩ সালের ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে।