যোগদানকারীদের বক্তব্য, শাসকদলের ওপর ভুল বুঝে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে অন্য দলে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। এমনকি বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো হয়নি। তাই তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলে যোগ দিলেন। প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “ধর্মের সুড়সুড়িতে এই সকল মানুষরা ভুল বুঝে মান অভিমান করে অন্য দলে গিয়েছিলেন। তারা আবার তৃণমূলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আমাদের দলে ফিরে এসেছেন”।
খায়রুল ইসলাম বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ISF বা BJP বলে কিছু থাকবে না, প্রত্যেকটা বুথ জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস”। এই বিষয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া BJP নেতা দীপু সর্দার বলেন, “আমরা একটা সময় তৃণমূলই করতাম। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের ওপর ও নেতাদের ওপর কিছুটা অভিমান হয়েছিল।
তাই BJP-তে যোগ দিয়ে বুঝলাম যে দলটার কোনও অস্তিত্বই নেই। এই দলে কেউ এসে পাশে দাঁড়াবে না, বিপদ হলে ঝাঁপিয়ে পড়বে না, কোনও কিছুই সুবিধা পাওয়া যাবে না। যে কদিন ধরে BJP করলাম, উচ্চস্তরের কোনও নেতার দেখা পাইনি। কোনও ধরনের কর্মসূচি হয়নি। এভাবে একটা দল চলতে পারে নাকি!
আর এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কত উন্নয়নমূলক প্রকল্প, কত কিছু কর্মসূচি রয়েছে। মানুষ সেসব সুফল পাচ্ছেন। তাই আমরা সবাই আবার তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হলাম”। এদিকে, বেশ কিছু মানুষের তৃণমূলে যোগদানকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “ভাঙড়ের সাধারণ মানুষ ISF-এর সঙ্গেই আছেন। তৃনমুলের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে তাই লোক দেখানোর জন্য এইসব নাটক করছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেই বোঝা যাবে মানুষ কাদের সঙ্গে আছেন”।
এই বলে তিনি আরও বলেন, “খবর নিয়ে দেখুন যারা তৃণমূলে যোগদান করেছে, তাঁরা বকলমে তৃণমূলেই ছিল। একদা শুধু সমর্থক হয়ে ছিল, আর এদিন হাতে পতাকা ধরিয়ে শুধু কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করা হল। এটাকে যোগদান বলে না, নাটক বলে। যা সারা রাজ্যেই চলছে। রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন। তৃণমূল সঠিক সময়ে সব জবাব পাবে”।