তাই বলব সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করুন। হিংসা, কুকথা না বলে এলাকার উন্নয়ন করুন”। সেই সঙ্গে তিনি ভারত সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দেশের সরকার, মোদিজির সরকার, দেশের উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসল উন্নয়ন যদি কেউ করে থাকেন সেটা মোদিজি।
আর আমাদের রাজ্য সরকার উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি করে চলেছে। আমি তৃণমূলে থাকাকালীন অবস্থাতেই মহিষাদলের উন্নতির জন্য, রাস্তাঘাটের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সেইসব উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি”।
মহিষাদলের কসমস ক্লাবের ৪২ তম বাসন্তী পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন। এদিকে, এদিন রাস্তাশ্রী নিয়ে মহিষাদলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী ব্লক পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, “আমি আমার এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ সহ নানান কর্মসূচিতে গিয়ে দেখেছি যে মানুষ যথেষ্ট খুশি, তৃণমূলের এত এত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আমাদের দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। মানুষ লক্ষ্মী ভান্ডার পাচ্ছেন, বিনা মুল্যে চাল পাচ্ছেন, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ আরও কত কত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আর কি চাই! এতে সব জায়গার মানুষ যথেষ্ট ভালো আছেন”।
তিনি আরও বলেন, “BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরাই দাবি করছেন রাজ্যে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ ৬০ শতাংশ পঞ্চায়েতে এখনও কোনও সংগঠনই গড়ে তুলতে পারেনি BJP। এটা আমার কথা নয়, BJP নেতারাই এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করছেন।
রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে কেবলমাত্র নন্দীগ্রামের ১টি পঞ্চায়েতের গুটিকয় প্রার্থীর তালিকা কেন প্রকাশ করা হল। এটা আসলে চমক। একজন নেতা নিজের ক্ষমতা জাহির করতে এমনটা করেছেন”।