স্থানীয় সূত্রে খবর, গিতালদহ গ্রামের জেলাল মিঞা শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার সকালে তাঁকে শীতলকুচি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে বিএসএফ এর ৭৫ নম্বর ব্যাটিলিয়ন এর জওয়ানরা। চিকিৎসক মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। এরপর মাথাভাঙা হাসপাতালে চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর পেয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছয় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ও জেলালের পরিবারের লোকজন।
তবে পরিবারের দাবি বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে মেরে বিএসএফের পোশাক পরিয়ে দিয়েছে। বিএসএফের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাথাভাঙা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফের ৭৫নম্বর ব্যাটিলিয়ন জেলাল মিঞা নামে একজনকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তে পরেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলাল মিঞার পরিবারের লোকজন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কোনও কাজের জন্য বাইরে বাড়িয়েছিল জেলাল। এরপর থেকে ওঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সারা রাত ধরে খোঁজাখুঁজি চালিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। এরপর স্থানীয় থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়। এরপর মাথাভাঙা হাসপাতাল থেকে জেলালের মৃত্যুর ব্যাপারে খোঁজখবর দেওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে জেলালের মৃত্যু হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
ওই ব্যক্তির সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তিকে কে বা কারা মারধর করল এবং তাঁকে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করলেও গোটা বিষয় নিয়ে বিএসএফের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই শীতলকুচি অঞ্চলেই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যায় স্থানীয় কিছু বাসিন্দার। বিষয়টি নিয়ে চরম রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয় রাজনীতিতে।