রায় ঘোষণার পর শনিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডির হাতে ধৃত অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক( মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস। এদিন ধৃত তিনজনকেই সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। তিনজনকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়।
সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত ভার নিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আগেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এখনও পর্যন্ত অধরা ভুয়ো শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি।
মূলত নথি জাল করে প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক( মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাসকে কলকাতায় সিআইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে সিআইডি।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত আরও পাঁচজনকে বহরমপুরে CID দফতরে ডাকা হয়। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জনকে। ধৃত দুইজন হলেন অঞ্জনা মজুমদার ও নিত্যগোপাল মাঝি। অঞ্জনা মজুমদার ডিআই অফিসের অবসরপ্রাপ্ত করণিক। হরিহাসমাটির অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিত্যগোপাল মাঝি জেলা শিক্ষা দফতরের বর্তমান করণিক।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির গোঠা হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করেছে CID। এই মামলায় সুতির গোঠা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল CID। তবে ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি এখনও পলাতক। নথি জাল করে অনিমেষ তিওয়ারিকে নিজের স্কুলে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি আরও বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের খোঁজ পায়। এরপরেই ঘটনায় নাম উঠে আসে অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক( মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস সহ আরও কয়েকজনের। সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার পর তদন্তের অগ্রগতিতে আরও সাহায্য হবে বলে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর।