এর আগে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আবেদন করার পর বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছিলেন ৩০ বছর ধরে সমস্যার সম্মুখীন হওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরের তপন সানি। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর (Kharagpur) ২ নম্বর ব্লকের কালিয়ারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভৈরবপুরের এলাকার বাসিন্দা হলেন বারি সোরেন।
জীবনে অনেকগুলো বসন্ত পেরিয়ে গেলেও তার সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। সমাধানের কথাও কেউ ভাবেনি। দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠতম দিনে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে তার হাতে রেশন কার্ড তুলে দেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, উন্নয়ন হবে সকলের। দল, মত, জাতি বিচার করে নয়।
রাজ্য সরকারের যতগুলি উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি আছে সেইগুলি থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না থাকে, তার জন্য প্রশাসনকে সবরকম পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। কালিয়ারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপুকুর হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে গিয়ে খড়্গপুর ২ ব্লক সভাপতি তৃষ্টি মাইতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ষষ্ঠবারের জন্য দুয়ারে সরকার শিবির চালু হয়েছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মীরা প্রতিটা শিবিরে যাচ্ছি, সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। সে ফর্ম ফিলাপ থেকে শুরু করে হোক, বা গরমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে। প্রশাসনিক কর্তারা সাধারণ মানুষকে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে অবগত করাচ্ছেন।”
তৃষ্টি মাইতি তার বক্তব্যে আরও বলেন, “আমরা চাই যে কোনও পশ্চিমবঙ্গবাসী যাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি থেকে বঞ্চিত না থাকে। সেটা দেখা আমাদের কর্তব্য। এখন দুয়ারে সরকার শিবিরগুলি সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কারণ সরকারি প্রকল্পের আবেদনের পাশাপাশি ICDS এর মহিলারা হাতে তৈরী নানারকম জিনিস নিয়ে বসছেন। আজকে দুয়ারে সরকারের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন কারণ আমাদের সরকার ৮৭ বছরের বারি সোরেনের হাতে রেশন কার্ড তুলে দিয়েছে। আর তার আশীর্বাদ নিতে পেরেছি আমরা।”
জীবনে প্রথমবার হাতে রেশন কার্ড পেয়ে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা বারি সোরেনও।