জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন।
একেই সময়ের অনেক পরে কাজ শুরু হয়, তার ওপরে সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলীর।
সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিল। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা।
এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।
যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, “ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা।”
দ্রুত বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি বলেন, “এই ঘটনা একেবারে অনভিপ্রেত। সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। একটা শিবির শুরু করতে কখনও এত সময় লাগা উচিৎ নয়। আবার শিবির শুরু হলেও মানুষ পর্যাপ্ত ফর্ম পাননি। এই বিষয়গুলি আগে থেকে দেখে রাখা উচিৎ।”
তবে এই কারণে যে শিবিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন আকবর আলি। তিনি বলেন, “বিরোধিতা করুন, কিন্তু এভাবে সরকারি সম্পত্তির ওপরে ভাঙচুর চালাবেন না। আখেরে এটা জনগনেরই ক্ষতি।”