মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার খবর জানেক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিবারের সদস্যরা। শেষমেশ পরিবারের প্রশ্নের মুখে সে জানায় প্রতিবেশী এক নাবালক তাঁকে ধর্ষণ করেছে। সেই কারণেই সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। কিশোরীর গর্ভবতী হওয়ার খবর এলাকায় জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , পূর্ব পরিচিত থাকায় কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল অভিযুক্ত নাবালকের। কিশোরীর বাবা-মা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত নাবালক বাড়িতে নেশার আসর বসাত। হারিয়ার নেশা করার পর কিশোরীকে মুখোরোচক খাবারও দিয়ে আসত অভিযুক্ত। ফাঁকা বাড়ি থাকার সুযোগে একাধিকবার জোর করে কিশোরী সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে অভিযুক্ত। এমনকী একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছে কিশোরী।
বিষয়টি সামনে আসতেই সালিশি সভা ডাকা হয় বলে অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের। আর সেখানে আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ স্থানীয়দের একাংশ দুই পরিবারকে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বিয়ের নিদান দেওয়ার হয় বলে অভিযোগ। তবে সালিশি সভায় অভিযুক্ত নাবালকের পরিবার উপস্থিত ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। দুই পরিবারে বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। নাবালিকার পরিবারের তরফে আলিপুরদুয়ার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার মহিলা থানার (Alipurduar Women Police Station) ওসি তৃষ্ণা লিম্বু জানিয়েছন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত ওই নাবালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া গর্ভবতী হওয়ায় শোরগোল পড়েছিল। ফের একই ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।