CRI রিপোর্টের ওপর রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে, মূলত এই দাবি নিয়েই জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ করে চলেছে কুড়মি সমাজ। একদিকে খড়্গপুরের খেমাশুলি, অন্যদিকে পুরুলিয়ার কুস্তাউরে অবরোধ কর্মসূচি চলছেই কুড়মি সমাজের। অন্যান্য দিনের মতন শনিবারও বাতিল হয়েছে একগুচ্ছ দুরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে সূত্রে খবর, শনিবার প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন। একাধিক ট্রেনকে ঘুর পথে চালানো হচ্ছে। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেনের।
এদিকে আরও তীব্র হতে চলেছে কুড়মি সমাজের আন্দোলন। কোটশিলা, শালবনীতে নতুন করে রেল অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কুড়মি সমাজ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে রেল অবরোধের।
এদিকে CRI রিপোর্টের উপর জাস্টিফিকেশন পাঠানোর ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে মেলেনি কোনও সবুজ সংকেত। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আন্দোলনের ঝাজ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মিরা। সাধারন মানুষ তাকিয়ে আছেন কতদিনে সমস্যার সমাধান হয় সেদিকে।
কতদিনে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন রেলযাত্রীরাও। এদিকে বিপদ বাড়িয়ে আন্দোলনে নেমেছে আরও দুটি কুড়মি সংগঠন। পূর্বাঞ্চল আদিবাসী কুড়মি সমাজ ও আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজ নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে।
যদিও এই দুই সংগঠন জানিয়েছে, মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে কোনও আন্দোলন তারা করবে না। তাই তারা তাঁদের আন্দোলন বা বিক্ষোভ প্রশাসনিক ভবনগুলির সামনে বা আসেপাশেই সীমাবদ্ধ রাখবে। এদিকে এতদিন হয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন কুড়মি আন্দোলনের নেতারা।
এই বিষয়ে কুড়মিদের এক নেতার বক্তব্য, “রাজ্য সরকার এখনও কিছুই করল না। আলোচনার কোনও প্রস্তাবও দিল না। এতেই আমরা আশ্চর্য হচ্ছি। শুনতে পাচ্ছি রেলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। প্রচুর মানুষও দুর্ভোগে পড়ছেন। কিন্তু সরকার তো কিছুই করছে না দেখছি, কথাও বলছে না। তাই আমরাও নিজেদের দাবি থেকে সরছি না”।