বিষ্ণুপুরের সাংসদকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ”আমাদের দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে নাম উঠলেই আমরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়াই। আর দুর্নীতিগ্রস্থরা বিজেপির সম্পদ। আপনাদের সম্পদ সৌমিত্র খাঁ, যে বালি মামলায় অভিযুক্ত। এই যে এসএসসি। সুজাতা আরও ভালো বলতে পারবে। ওর বাড়ির একটা লোককেও ছাড়েনি। ঘরের লক্ষ্মী ধরে রাখতে পারেনি। সুজাতা চলে এসেছে। ওরা আবার লক্ষ্মী ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ করে।”
উল্লেখ্য, ১৯-এর ভোটে বিষ্ণুপুরে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ান সৌমিত্র খাঁ। ভোটে জেতেনও। উল্লেখ্য, সেসময় বিচারাধীন মামলার কারণে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ঢুকে প্রচার করতে পারেননি সৌমিত্র। পুরোটাই সামলেছিলেন তাঁর তৎকালীন স্ত্রী সুজাতা। কিন্তু একুশের ভোটের আগে সুজাতা তৃণমূলে যোগ দিলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একরাশ অভিমান উগরে তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র।
তারপর রাজ্য রাজনীতির ময়দানে কাল বদলেছে। সৌমিত্র-সুজাতার মান অভিমান থেকে তিক্ত অশালীন আক্রমণ, কাদা ছোঁড়াছুঁড়িরও সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক মহল। এই মুহূর্তে আদালতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা বিচারাধীন। রাজনীতির পথে সুজাতা নিজেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। সৌমিত্র সুজাতা আক্রমণ পর্বের পরপরই একুশের ভোটে আরামবাগ বিধানসভায় সুজাতাকে প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তিনি জয় পাননি।
উল্লেখ্য, দুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওন্দার সভার কর্মসূচি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন সৌমিত্র খাঁ। বলেন, ”পশ্চিমবাংলার আলিবাবা তাঁর ৪০ চোরকে নিয়ে ওন্দাতে আসছেন। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, আইএএস ও আইপিএস অফিসারদের নিয়ে চুরি করার পরিকল্পনা করছেন।” এখানেই শেষ নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুন্তল-শান্তনুর সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সৌমিত্র।