West Bengal News : অবশেষে দীর্ঘ ২২ বছর পরে ক্ষুদ্র চা বাগানের জমি জট কাটতে চলেছে। এবার ক্ষুদ্র চা চাষিরা তাদের জমির স্বীকৃতি পেতে চলেছেন। বুধবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের গেজেট নোটিফিকেশন করেছে।

Sabina Yasmin : বেআইনিভাবে জমি দখল করে চলছে বাড়ি তৈরির কাজ! অভিযোগ উঠতেই কমিটি গঠন মন্ত্রীর
যার অনুলিপি তাদেরকেও পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১৭ সালের ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত যে সব ক্ষুদ্র চা বাগান তৈরি হয়েছে তাদের জমির সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সরকারের এই ঘোষনায় খুশি ক্ষুদ্র চা চাষিরা। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির হিসেব অনুসারে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। আর জমির পরিমার প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর। কিন্তু এই জমির একটা বড় অংশ অবৈধ ছিল। অর্থাৎ সরকারি খাতায় কৃষি জমিকে চা বাগানের জমিতে পরিবর্তন করার যে স্বীকৃতি, তা ছিলো না।

Potato Farmer : উঠছে না চাষের খরচ, মাথায় হাত মালদার আলু চাষিদের
যে কারণে ব্যাঙ্ক ঋন থেকে শুরু করে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিলো ক্ষুদ্র চা চাষিদের। এবার সরকারের জারি করা নোটিফিকেশনের পরে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েন সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “বাম আমলে ২০০১ সালে একবার এই ভাবে ক্ষুদ্র চা বাগানের জমির সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

China Arunachal Border : জমি জটের মাঝেই অরুণাচল সীমান্তে উন্নয়নে জোর, প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
সেবার আবেদন পত্রের সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৩২১ জন। কিন্তু ৫ হাজারের মতো চা চাষি সরকারি ছাড়পত্র পান। কিন্তু তারপর থেকে আর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এবার সরকারি ভাবে আবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে রায়াতি জমিতে হেক্টর প্রতি এককালীন ২৫ হাজার টাকা জমা দিলে সরকারি ছাড়পত্র পাবে”।

Mango Tree: বাংলাকে ‘লেঙ্গি’ উত্তরপ্রদেশের, ল্যাংড়া আমের স্বীকৃতি পেল যোগী রাজ্য
অন্যদিকে সরকারি পাট্টা জমি, আর আর বা ভেস্ট জমিতে ৩০ বছর জন্য লিজ নিলে হেক্টর প্রতি ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে এবং সরকার দ্বারা ঘোষিত জমির খাজনা প্রতিবছর দিতে বলে বলে জানান বিজয় গোপাল বাবু। এদিকে সরকারি এই নোটিফিকেশনের পরে সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি রজত কুমার রায়।

তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা পর্ষদের পক্ষ থেকে পরিচয় পত্র দেওয়া হলেও জমির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা অনিশ্চয়তায় ভুগত। এবার আমদের লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তাছাড়া সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version