যার অনুলিপি তাদেরকেও পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১৭ সালের ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত যে সব ক্ষুদ্র চা বাগান তৈরি হয়েছে তাদের জমির সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সরকারের এই ঘোষনায় খুশি ক্ষুদ্র চা চাষিরা। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির হিসেব অনুসারে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। আর জমির পরিমার প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর। কিন্তু এই জমির একটা বড় অংশ অবৈধ ছিল। অর্থাৎ সরকারি খাতায় কৃষি জমিকে চা বাগানের জমিতে পরিবর্তন করার যে স্বীকৃতি, তা ছিলো না।
যে কারণে ব্যাঙ্ক ঋন থেকে শুরু করে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিলো ক্ষুদ্র চা চাষিদের। এবার সরকারের জারি করা নোটিফিকেশনের পরে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েন সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “বাম আমলে ২০০১ সালে একবার এই ভাবে ক্ষুদ্র চা বাগানের জমির সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সেবার আবেদন পত্রের সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৩২১ জন। কিন্তু ৫ হাজারের মতো চা চাষি সরকারি ছাড়পত্র পান। কিন্তু তারপর থেকে আর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এবার সরকারি ভাবে আবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে রায়াতি জমিতে হেক্টর প্রতি এককালীন ২৫ হাজার টাকা জমা দিলে সরকারি ছাড়পত্র পাবে”।
অন্যদিকে সরকারি পাট্টা জমি, আর আর বা ভেস্ট জমিতে ৩০ বছর জন্য লিজ নিলে হেক্টর প্রতি ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে এবং সরকার দ্বারা ঘোষিত জমির খাজনা প্রতিবছর দিতে বলে বলে জানান বিজয় গোপাল বাবু। এদিকে সরকারি এই নোটিফিকেশনের পরে সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি রজত কুমার রায়।
তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা পর্ষদের পক্ষ থেকে পরিচয় পত্র দেওয়া হলেও জমির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা অনিশ্চয়তায় ভুগত। এবার আমদের লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তাছাড়া সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে”।