শিলান্যাস করেন কোচবিহারের জেলা শাসক পবন কাদিয়ান। জানা গিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক এই ওয়্যার হাউসটি তৈরি করা হবে। ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন এই ওয়্যার হাউসটি সরকারি নিয়ম মেনে বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতে পারবেন।
এই উপলক্ষ্যে রবিবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলাশাসক ছাড়াও কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, অতিরিক্ত জেলা শাসক সমীরণ মণ্ডল,পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, মেখলিগঞ্জ মহকুমার মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং, BDO অরুণ কুমার সামন্ত এলাকার বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এদিন এলাকায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার একাধিক রাস্তার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। জেলা শাসক জানিয়েছেন,খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজগুলি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত ভারত বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা। এখানে বহুদিন ধরে দাবি ছিল একটি আন্তর্জাতিক মানের ওয়্যার হাউজ নির্মাণের। আজ তার শিলান্যাস করা হল। এটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেলে এই এলাকায় বৈদেশিক বানিজ্য অনেকটাই গতি পাবে। সাধারণ মানুষও লাভবান হবেন ও এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে নিজের খুশি ব্যক্ত করে জানান, “এখানে বৈদেশিক বানিজ্য বাড়লে আমরা স্থানীয়রাও কিছু উপার্জন করতে পারব। অল্প টাকা রোজগারের জন্য আর বাইরে যেতে হবে না কাউকে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাটি রাজ্যের বাণিজ্য মানচিত্রে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য৷ কারণ মেখলিগঞ্জ মহকুমার আওতায় চ্যাংরাবান্ধা একটি স্থল বন্দর৷
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও অতি গুরুত্বপূর্ণ৷ সার্কভূক্ত দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যের সুবিধার জন্য ১৯৮৭ সালে চ্যাংরাবান্ধার সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়েভারত-বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য চলছে৷ ভুটান থেকে বাংলাদেশে এই সীমান্ত দিয়ে যায় আপেল, ডলোমাইট, কমলালেবু, বোল্ডার ইত্যাদি৷ কাস্টমসের অফিস সীমান্তেই টিনের ছাউনিতে৷