অয়ন ঘোষাল: অপেক্ষাই সার। নবান্ন থেকে এলো না আলোচনার ডাক। বৃহত্তর আন্দলনের জন্য কোমর বাঁধছে যৌথ মঞ্চ।
বারে বারে কর্মবিরতি বা ধর্মঘট কোনও সুস্থ প্রশাসনের অঙ্গ হতে পারেনা। এই পর্যবেক্ষণ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম গত ছয় এপ্রিল এক নির্দেশিকা জারি করেন।
এতে বলা ছিল, ডিএ ইস্যুতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ফোরাম অর্থাৎ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সঙ্গে সরকার ১৭ এপ্রিলের মধ্যে আলোচনায় বসুক। যদি এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ দেওয়া কোনও কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে কি সেই কারণ, তা সরকারি কর্মীদের জানানো হোক। কবে নাগাদ এই সমস্যা কাটিয়ে সরকার বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে, তাও জানানো হোক।
আরও পড়ুন: Sealdah South | Canning Line: তাঁর ছিঁড়ে বিভ্রাট, সপ্তাহের প্রথমদিনে বন্ধ ক্যানিং শাখার ট্রেন
সেই দিন থেকেই যৌথ মঞ্চ তাদের প্রস্তুতি শুরু করে। আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সহ যৌথ মঞ্চের তিন এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বারোই জুলাই শাখার দুইজন। মোট পাঁচ প্রতিনিধির নামের তালিকা আইনজীবি মারফত আদালতে জমাও দেওয়া হয়। সাত এপ্রিল থেকে সোমবার ১৭ এপ্রিল, এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে এই নিয়ে কোনও উচ্চ বাচ্য নেই বলেই জানানো হচ্ছে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: Kolkata | Power Cut: তীব্র গরমে টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
এই অবস্থায় সোমবার, অর্থাৎ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আর আলোচনায় বসার ডাক আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছে তারা। তবুও আজ সোমবার শহীদ মিনারের ডিএ অবস্থান মঞ্চে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছেন, প্রতিনিধি হিসেবে তালিকায় নাম থাকা পাঁচ সদস্য।
আজ সোমবার, সকাল দশটায় সরকারি অফিসে কাজ শুরু হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কলকাতায় আছেন। আছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। যদি ডাক আসে, তাহলে যেকোনও মুহুর্তে নবান্ন যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই বসে আছেন তাঁরা।