মূলত নিঃসঙ্গ প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ বালুরঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের। রবিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পরিষেবা চালু করা হল। একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার চালু করেন বালুরঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দাস।
এছাড়াও ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সীমা বসাক সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর হেল্প লাইন কার্ড তুলে দেওয়া হয় প্রবীণদের হাতে। মূলত এই পরিষেবা ১ নম্বর ওয়ার্ডেই চালু করা হল।
২৪ ঘন্টায় যেকোনও সমস্যায় শুধুমাত্র একটা ফোনে পৌঁছে যাবেন কাউন্সিলর বা কাউন্সিলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। নিঃসঙ্গ প্রবীনদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি করা হবে সব রকমের সাহায্য। বর্তমানে এই পরিষেবা শুধুমাত্র ১ নম্বর ওয়ার্ডে চালু করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বয়স কালে দেখা যায় সন্তানরা কর্ম সূত্রে বা নানা কারণে বাইরে থাকে। যার ফলে বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা’রা একাই থাকে। একটা সময়ের পর বয়স জনিত কারনে অনেক কাজই করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এইসব নিঃসঙ্গ প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বালুরঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দাস। ওয়ার্ডের এমন প্রবীণদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কাউন্সিলরের হেল্প কার্ড।
যেখানে কাউন্সিলরের পাশাপাশি আরও সাতজন কাউন্সিলর প্রতিনিধির নাম ও নম্বর রয়েছে।এই সব নম্বরে একটা ফোন করলেই মিলবে সবরকমের সহযোগিতা। বাজার আনা হোক বা দোকান থেকে ওষুধ। সব পরিষেবা পাবেন প্রবীণ ও নিঃসঙ্গরা। কাউন্সিলরের এই অভিনব উদ্যোগ স্বভাবতই খুশি ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিক ও প্রবীণারা।
এই বিষয়ে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধা তাপসী সোম বলেন, “আমার ছেলে রয়েছে। তবে সে বর্তমানে কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। যার ফলে বাড়ি স্বামী স্ত্রী বাদে কেউ নেই। অনেক সময় ছোটখাট সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের পাশে দাঁড়াতে কাউন্সিলরের তরফ থেকে হেল্প লাইন কার্ড চালু করা হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হয়েছে৷ ছেলে না থাকলেও কোথাও ভরসা পাচ্ছি। মনোবলও বাড়ছে।”
এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দাস বলেন, “জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রবীণদের পাশে দাঁড়াতে প্রণাম প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।তবে সেই প্রকল্প আর সেভাবে সচল নেই। সেই জায়গা থেকে ওয়ার্ডের নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে হেল্প লাইন কার্ড চালু করলাম। ২৪ ঘন্টার জন্য দুয়ারে কাউন্সিলর পরিষেবা পাবেন তারা। সব রকম ভাবে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানো হবে।”