শনিবার রাতে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ জয়পুরে৷ মৃত যুবকের নাম অভিজিৎ মণ্ডল (২৪)। এদিকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে এই নিয়ে গঙ্গারামপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিজিৎ পেশায় মেকানিক। মহারাজপুরে তার নিজের গ্যারেজ রয়েছে।
বছর তিনেক আগে গঙ্গারামপুরের মোক্তারামপুরের এক মেয়েকে বিয়ে করে অভিজিৎ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অভিজিৎকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে থাকত তাঁর স্ত্রী। এমনকি বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দিত না। অভিজিতের বাবা মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নানা ভাবে গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এমনকি দেখাও পর্যন্ত করতে দিত না। এদিকে অভিজিতের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এমনই অভিযোগ ওঠে। সেই সম্পর্ক জেনে ফেলেছিল অভিজিৎ৷ তা নিয়ে দম্পত্তির মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। এদিকে শনিবার বিকেল হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি অভিজিৎ।
এমনকি তার খোঁজ খবরও করেনি স্ত্রী বা তার বাপের বাড়ি সদস্যরা। অবশেষে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অভিজিতের নিথর দেহ উদ্ধার হয়৷ মাথায় আঘাতের চিহ্ন পরিষ্কার।
এছাড়াও গোটা শরীর জুড়ে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। যা থেকে পরিবারের লোকদের পরিষ্কার ধারনা, অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। পরে গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠিয়েছে। এই নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুর থানায় অভিজিতের স্ত্রী সহ মোট চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
এই বিষয়ে মৃতের আত্মীয় ভোম্বল মণ্ডল বলেন, “অভিজিৎ তার স্ত্রী’র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিল। সেই কারণে পথের কাঁটা অভিজিৎ কে খুন করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই অভিজিৎকে নানা হবে অত্যাচার করত স্ত্রী। বিয়ের পর পরই তার স্ত্রী অভিজিৎকে নিয়ে চলে যায় তার বাপের বাড়িতে। অভিজিৎকে তার নিজের বাড়িতে আসতে দিত না। এই খুনের পিছনে তার স্ত্রী সহ তাঁর পরিবারের সকলেই যুক্ত রয়েছে।”
অন্যদিকে গঙ্গারামপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুন না অন্যকিছু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানানো যাবে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।