সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণর বাড়ি থেকে ৩ হাজার পাতার নথি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে জিজ্ঞাসবাদ করে রাজ্যের আরও ৮ থেকে ১০ জন বিধায়কের নাম ও এজেন্টদের নথি পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া নথি থেকে মুর্শিদাবাদসহ আশেপাশের জেলার চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাওয়া গিয়েছে। বিধায়কের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকে টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাঁদের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।জীবনের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে রীতিমতো চলত নিয়োগ দুর্নীতির র্যাকেট। চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করার জন্য তাঁদের থেকে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়া হত বলে দাবি করেছে সিবিআই। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে এর আগে শাসকদলের আরও কোনও নেতা-মন্ত্রী বা বিধায়কের বাড়িতে এত দীর্ঘ সময় তল্লাশি করেনি সিবিআই। গোয়েন্দাদের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তা বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জীবনের ফোন উদ্ধারের জন্য ঘটনার পুননির্মাণ করে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার হয় একটি ফোন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ জলে পড়ে থাকার কারণে সেই ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফোন শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করেও ফোন চালু করা হয়নি। জীবনের ফোন ফরেন্সিকে পাঠানো হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর আরও একটি ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন তৃণমূল বিধায়কের ফোন থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী এই সংক্রান্ত একটি মোবাইল ফোনের রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসে (অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। সেখানে চাকরি না দিতে পারার কারণে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলতেও শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। যদিও অডিয়োর কথা অস্বীকার করেন তৃণমূল বিধায়ক। জীবনকে আদালতে পেশ করে সিবিআই আর কী কী জানায়, সেটাই এখন দেখার।