বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ”ঘরের লক্ষীকে আটকে রাখতে পারেননি, তবে আপনি ঘরের লক্ষীকে চোর সাজিয়েছেন।” এদিন দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটি কাগজ দেখিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই ওন্দাতেই ”সৌমিত্র খাঁ ঘরের লক্ষীকে আটকে রাখতে পারেননি” বলে মন্তব্য করেছিলেন। এদিন তাঁরই জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। সৌমিত্র খাঁকে আক্রমণের জবাবে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলার প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ শানান।
এখানেই শেষ নয়, অভিষেক বলেছিলেন, বাঁকুড়ার জনগণ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তার পালটা হিসেবে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাশুভেন্দু অধিকারীবলেন, ”সেদিন ভাইপো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয় যেকথা বলে গিয়েছেন। এদিন শুভেন্দু তাঁর উত্তর নয়, প্রতিবাদ করেন। এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা জোড়া ফুলে ভোট দিয়েছেন তাঁরা এবার পদ্মফুলে ভোট দিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন।” একই সঙ্গে দেশের ‘গর্ব সিবিআই’ মাটির নিচে টাকা রাখলেও খুঁজে বের করবে বলে তিনি দাবি করেন।
”আজকেও একটা উইকেট গিয়েছে।” নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ”তিহাড় যাওয়ার লাইন পড়ে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের তিনজন বিধায়ক জেলে। রাতে ঘুমোতে পারছে না চিন্তায়।” উল্লেখ্য, টানা ৬৬ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ, পানাপুকুরে মোবাইল খোঁজার রোমহর্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এদিন সকালেই গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ সাহা।
এদিন সভা শুরুর আগে ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে সবজি বাজার পর্যন্ত মিছিলে পথ হাঁটেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দলের বাঁকুড়ার বিধায়করা সহ দলীয় পদাধিকারীরা।