West Bengal News : মালদা জেলার ইংরেজবাজার অনেক আগেই গড়ে উঠেছে ‘ফ্ল্যাট কালচার’। ঘন বসতিপূর্ণ এই ছোট শহরে দিনের পর দিন গড়ে উঠেছে প্রচুর ফ্ল্যাট বা আবাসন। ইংরেজবাজার পুর কর্তৃপক্ষ এই ফ্ল্যাটগুলির ওপর খোঁজ চালিয়ে দেখেছেন, এগুলির বেশিরভাগেরই মিউটেশন করা নেই। আর তা দেখেই নড়েচড়ে বসেছে ইংরেজবাজার পুরসভা।

পুরসভার ফি ও ট্যাক্স এড়ানোর জন্য ফ্ল্যাট কেনার পর বাসিন্দারা মিউটেশন করাচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে এবার কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে পুরসভা। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের প্রোমোটারদের নিয়ে একটি বৈঠক করে পুরসভা।

Municipal Corporation : ছোট পুরসভাতেও এবার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল
তাতে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, ক্রেতাদের বকেয়া মিউটেশন করিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও নজর রাখা হচ্ছে বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রোমোটারদের ওপরেও। পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমরা জানতে পেরেছি প্রচুর লোক ফ্ল্যাট কিনছেন, কিন্তু মিউটেশন করাতে অনাগ্রহী রয়েছেন। এটা পুরসভা আর চলতে দেবে না। এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা ধার্য করা হবে। এর ফলে পুরসভা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজ একথা শহরের সমস্ত প্রোমোটারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,মালদা ও ইংরেজবাজার শহরে ফাঁকা জায়গা আর নেই। ফলে পুরনো বাড়িগুলি ভেঙে প্রোমোটাররা এবার নতুন ফ্ল্যাট তৈরি করছেন। আর সেই জন্য জমির মালিকের সঙ্গে তাঁরা চুক্তি করছেন।

Bashirhat Municipality : এক ফোনেই জানান অভিযোগ! বসিরহাট পুরসভার নয়া হেল্পলাইন নম্বর জানেন তো?
টাকার পাশাপাশি জমির মালিক ফ্ল্যাট সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রোমোটারের কাছে পাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করে ফ্ল্যাট বিক্রিও করা হচ্ছে। কিন্তু গোল বাঁধছে মিউটেশনের সময়েই। এই জায়গাতেই অনীহা দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে।

মিউটেশন ক্রেতাকেই করতে হয়। সেই অনুযায়ী পুরসভা বাড়ির নম্বর ঠিক করে। পরে গিয়ে কর আদায় থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি কাজকর্ম এই মিউটেশন নম্বর বা হোল্ডিং নম্বর ধরেই হয়ে থাকে। পুরসভা সূত্রে এও জানা গিয়েছে, আগে মোট ফ্ল্যাটের দামের তিন শতাংশ মিউটেশন ফি হিসেবে নেওয়া হত।

Amartya Sen : অমর্ত্য সেনের বাড়ি-জমি বেদখলের আশঙ্কা! পুলিশকে শান্তিরক্ষার নির্দেশ আদালতের
পরে তা কমিয়ে দুই শতাংশ করা হয়েছে।কিন্তু তারপরেও অনেকে ফ্ল্যাটের মিউটেশন করাচ্ছেন না। এই বিষয়ে স্থানীয় এক প্রোমোটার জানান, “কোনও ক্রেতার মিউটেশনের বিষয়টি আমাদের হাতে থাকে না। রেজিস্ট্রি করার পর ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দেওয়া হয়।মিউটেশনটা পরে করে নেওয়া হবে, এটা অনেকেই বলেন। এরপর অনেকেই ভুলে যান, বা অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে চলেন। এবার জরিমানা আদায় শুরু হলে হয়ত সবাই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রির পরেই মিউটেশন করে নেবেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version