পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বোলপুর থানা এলাকার তাতারপুর কলোনির এলাকার বাসিন্দার ১১ বছরের নাবালিকা মামনি সরকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। টানা চারদিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। স্থানীয় থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নাবালিকার খোঁজে নামে বোলপুর থানার পুলিশ।
তদন্ত নেমে নাবালিকার পিসি রেখা সর্দারের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। নজরদারি করে পুলিশ জানতে পারে যে তাঁর পিসি তন্ত্রসাধনা করে। নজরদারি করে তারপীঠের বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেখা নামে ওই মহিলাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে হয়েছে। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, নাবালিকা যখন তাঁর ঠাকুমাকে খাবার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল তখন তাঁকে ধরে নিয়ে তারপীঠের বাড়িতে নিয়ে যায় তাঁর পিসি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “নিখোঁজ হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৬টি দল তৈরি করা হয়। আমরা জানতে পারি রোজকার মতো ঠাকুমাকে খাবার দেওয়ার জন্য সে বাড়ি থেকে বাইরে বের হয়েছিল। তারপরই আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে ও নাবালিকার নিজের পিসি তারপীঠে লুকিয়ে রেখেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পিসির উপর আমাদের সন্দেহ বাড়ে। তারপীঠে পুলিশের দল পাঠানো হয়। সেখান থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পিসি ওই নাবালিকা ভুলিয়ে পরিবারের অজান্তে নিয়ে যায়। পিসির তন্ত্রসাধানার ইতিহাস রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমাদের মনে হচ্ছে, এই মামলার সঙ্গে কুসংস্কার ও তন্ত্র সাধনার বিষয় জড়িত।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “তন্ত্র সাধনা ও অন্ধ বিশ্বাসের কারণই ওই মেয়েটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। মহিলার বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ওই মহিলার অতীত রয়েছে। নাবালক নাবালিকাকে বলির অভিযোগও রয়েছে। বিস্তারিত জেরা না করে এখনই আমরা এই বিষয়ে কিছু বলব না।”