West Bengal News : তীব্র দাবদাহে জনমানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই গরম আবহাওয়াতে চিকিৎসকরা শরীর ঠিক রাখতে প্রচুর জল খেতে বলছেন। কিন্তু জায়গায় জায়গায় পানীয় জলের এমন আকাল দেখা দিয়েছে যে রান্না করারই জল পাচ্ছেন না মানুষ, তাহলে জল খাবেন কি! ঠিক এরকমই অবস্থা পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে জলের দাবিতে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ দেখা গেল পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে।

এই বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় দেখা দিল চরম উত্তেজনা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভরত মানুষদের ওপর লাঠিচার্জ করার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গ্রীষ্মের দাবদাহে পানীয় জল পাচ্ছেন না পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে পানিহাটি পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলে কোনও সুরাহা হচ্ছে না, অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Drinking Water Crisis : পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ, যান চলাচল ব্যাহত দক্ষিণ দিনাজপুর রাজ্য সড়কে
এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা মুন্ডা জানিয়েছেন, “পানীয় জল না পাওয়ায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষদের। আজ তাই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে আমরা ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করেছি।” এদিকে, অবরোধ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।

এলাকাবাসীদের দাবি পূরন না হলে ভোট বয়কটের হুমকি দেন তাঁরা। এরপরেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ঘোলা চন্ডীতলা এলাকায় সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোড অবরোধ করেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান স্থানীয় বাসিন্দারা।

অবস্থা হাতের বাইরে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেই সময় মহিলা পুলিশ কর্মী ছিল না। পরবর্তীতে মহিলা পুলিশ আসে এবং একপ্রকার জোরপূর্বক পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

Durgapur Water Crisis : পানীয় জল সংকট খনি এলাকায়, অণ্ডালে রাস্তা অবরোধ বাউরি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের
প্রায় একঘন্টা অবরোধ থাকে মধ্যমগ্রাম সোদপুর রোড। ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, ঘোলা থানার পুলিশ এসে প্রথমে বিক্ষোভকারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে গেলে ব্যর্থ হয়। অবশেষে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। লাঠি উচিয়ে ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীদের।

লাঠির আঘাতে এবং ছুটোছুটি করতে গিয়ে পরে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন, এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিকে,রাস্তা অবরোধ পুলিশ তুলে দিলেও পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাউন্সিলর শ্যামলী দেবনাথ জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন।

তিনি জানান, “বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ পথ অবরোধ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। পুরসভায় গিয়ে কথা বলতে হবে। বড় একটা জলের ট্যাঙ্ক চালু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই ট্যাঙ্ক চালু হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

Water Crisis : পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ, তৃণমূল কর্মীদের হুমকির অভিযোগে উত্তেজনা বাঁকুড়ায়
পাশাপাশি রাস্তার কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলেও জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ পানিহাটি পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version