বিষয়টি শোনার পরে BSF আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী BGB বা বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ-এর সঙ্গে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর উভয় দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, পারস্পরিক সহযোগিতার কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ভাইকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ব্যবস্থা করে দেন।
এভাবেই বাংলাদেশে বসবাসরত বোনের পক্ষে তার ভাইয়ের শেষ দর্শন করা সম্ভব হয়। এই কারণে মৃতের স্বজনরা BSF-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শেষ দর্শনের পর মৃতের বোন ও তার স্বজনরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “BSF-র কারণেই আমরা আমাদের ভাইকে দেখতে পেলাম।”
সীমান্তের ওপারে বসবাসকারী সাবরের বোনের এক আত্মীয় এই বিষয়ে জানান, “হঠাৎ উনি মারা যাওয়ার পরে সাবরের বোনকে কিভাবে দেখাব বুঝতে পারছিলাম না। কারন সমস্ত কাগজপত্র সই সাবুদ মিটিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। সেই জন্যই BSF-র কাছে যাই। তাঁরা আমাদের অবস্থার কথা মন দিয়ে শোনেন, ও সাহায্য করার আশ্বাস দেন। আজ ওনাদের জন্যই এক বোন তাঁর দাদাকে শেষবারের মতন দেখতে পেল। এর জন্য BSF-র অবদান কোনোদিন ভুলবো না।”
এদিকে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে BSF-র মুখপাত্র বলেন, “BSF সর্বদা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের যত্ন নেয়।” BSF-র সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, “BSF জওয়ানরা দিনরাত চোখের পলক না ফেলে সীমান্তে মোতায়েন থাকেন।”
তিনি আরও বলেন, “BSF জওয়ানরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধেরও যত্ন নেন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী অসৎ উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে রয়েছে, কিন্ত মানবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে তারা সর্বদা প্রস্তুত থাকে।