এই সময়:রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার (এসিবি) কাছে নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার দুর্নীতির তদন্ত সংক্রান্ত নথি চাইল সিবিআই। দীর্ঘদিন আগে অভিযোগ জমা পড়ায় তাপসের বিরুদ্ধে এসিবি তদন্ত শুরু করেছিল। গত বছরের মাঝামাঝি ওই মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিধায়কের আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়ালও। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।
এর পরেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে গত সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পুকুর পাড়ে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় কিছু কাগজপত্র। এর পাশাপাশি, ওই বিধায়কের বাড়ি, অফিস, এমনকী তিনি যে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, সেই কলেজের ছাদে উঠে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শুধু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগই নয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে।
এর পরেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে গত সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পুকুর পাড়ে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় কিছু কাগজপত্র। এর পাশাপাশি, ওই বিধায়কের বাড়ি, অফিস, এমনকী তিনি যে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, সেই কলেজের ছাদে উঠে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শুধু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগই নয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে।
তাপস সাহার এক সময়কার আপ্ত-সহায়ক প্রবীরের দাবি, ‘আমি অত্যন্ত সাধারণ মানুষ। এমএলএ হস্টেলের উল্টো দিকে একটি হোটেলে কাজ করতাম। সেখান থেকেই তাপস সাহার সঙ্গে আমার পরিচয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে বিধায়ককে চিনি। তবে আমি সিএ নই। কোনও দুর্নীতিতেও যুক্ত নই।’ সিবিআই তদন্ত শুরু করার আগে থেকেই তাপস দবি করে আসছিলেন, তদন্তে তিনি সহযোগিকা করবেন। তাঁর অভিযোগ, ‘দলের একাংশ চক্রান্ত করছে। তবে আমার বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা এখনও কোনও প্রমাণ পাননি।’
সিবিআই সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের এসিবি-কে ই-মেল করা হয়েছে। তাপসের বিরুদ্ধে যেহেতু রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত করছিল, তাই তাদের হাতে কী কী তথ্যপ্রমাণ এসেছিল, তারা কী নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সাক্ষীদের কী বয়ান ছিল, সেই সব তথ্য হাতে পেতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।