মার্কিন মুলুকে বিভিন্ন স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা অহরহ ঘটেই। সেই ঘটনার প্রতিচ্ছবি এবার দেখা গেল রাজ্যে। মালদার এক স্কুলে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালালো এক যুবক। জানা গিয়েছে, মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে স্কুল চলাকালীন হাতে পিস্তল নিয়ে ঢুকে পড়ে এক যুবক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা করে ওই যুবক।NJP Railway Station : এনজেপি স্টেশনে ধারাল অস্ত্রের কোপ যুবকের! আতঙ্কে কাঁটা পর্যটকরা
পিস্তলহাতে ক্রমাগত ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তাঁর কাছে আরও আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গোটা স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে। এখনও ওই যুবক কী উদ্দেশ্যে স্কুলে চড়াও হয়েছে, তা পরিষ্কার করে জানা যায়নি।

ওই ব্যক্তি যখন বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছিল, তখন জীবনবাজি রেখে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় আরও এক ব্যক্তিকে। শেষমেশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে মালদা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনকী স্কুলে ঢুকে সে দাবি করতে থাকে যে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এমনকী সে তাঁর পুত্রকে খুঁজে পাচ্ছে না বলেও দাবি করে সে।

Delhi Public School : বিস্ফোরণে দিল্লি পাবলিক স্কুল ওড়ানোর হুমকি, আতঙ্কে পড়ুয়ারা
ছেলে খুঁজে না পাওয়ার কারণেই সে বাধ্য হয়ে এই পন্থা নিয়েছে বলে দাবি করতে থাকে ওই যুবক। সেই যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানতে পারা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে অনেকেই দাবি করছেন যে ওই যুবকের নাম রাজু বল্লভ। তবে তাঁর নাম নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার খবর পেতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। তাঁকে আটক করে মালদা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটাল ওই ব্যক্তি, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও স্কুলের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন। তবে জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের কারও কোনও সমস্যা হয়নি। সকলেই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

Fake Cbi Officer : ফের পুলিশের জালে ভুয়ো CBI অফিসার, তেহট্টে হাতেনাতে পাকড়াও যুবক
স্কুলের শিক্ষিকা বলেন, “আচমকা ক্লাসে ঢুকে আমাকে বন্দুক দেখিয়ে বলে একদম নড়বেন না। এমনকী পড়ুয়াদের বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছেন। পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এমনটা বলা যাবে না। ক্লাসে স্কুলে ৭০ থেকে ৮০ জন পড়ুয়া ছিলেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version