ফলে বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’ সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি পুরআইন মেনে কিছু নতুন সাফাইকর্মী নিয়োগের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দেবব্রত বলেন, ‘গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার মতো ব্যস্ত জায়গায় জঞ্জাল অপসারণের কাজে নাইট সার্ভিস চালু রয়েছে। এ বার আমরা আরও কিছু নতুন এলাকায় এই পরিষেবা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তবে প্রস্তাবক অরূপ চক্রবর্তীর কথা কার্যত স্বীকার করে নেন দেবব্রত। তিনি জানান, সাফাইকর্মীর সঙ্কটের জন্য যতটা না জঞ্জাল অপসারণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি অসুবিধে হচ্ছে প্রয়োজনের ভিত্তিতে সাফাইকর্মীদের বণ্টন করতে না পারার জন্য। কারণ, কলকাতা পুরসভার পুরোনো আইন অনুযায়ী সাফাইকর্মী বণ্টন করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
কিন্তু এখন এমন অনেক ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে গত কয়েক বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু আইনি অসুবিধের জন্য ওই সব ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত সাফাইকর্মী দেওয়া যাচ্ছে না। মূলত, ইএম বাইপাস লাগোয়া ওয়ার্ডগুলিতে সাফাইকর্মী ঠিকমতো বণ্টন করতে না-পারার সমস্যা বেশি। এই সব ওয়ার্ডে গত পঁচিশ বছরে জনবসতি বেড়েছে ব্যাপক হারে।
কিন্তু সাফাইকর্মীর সংখ্যা রয়ে গিয়েছে পুরোনো বরাদ্দ অনুযায়ী। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত প্রস্তাব দেন, প্রতিটি ওয়ার্ডেই এমন অনেক বস্তি রয়েছে, যার রাস্তা সঙ্কীর্ণ। ফলে বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। তাই বস্তির জন্য পৃথক ভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করা হোক। মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।