South 24 Parganas : ‘ক্যাটারিংয়ের কাজের জন্য মহিলা চাই’ – বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ফেসবুকে। এইটুকু বিজ্ঞাপন মহা বিপদে ফেলে দেয় এক নাবালিকাকে। কিছু অর্থ সমাগমের আশায় বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে নাবালিকা। কাজের টানে নাবালিকা পৌঁছে যায় জয়নগর স্টেশন পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় ওই নাবালিকা।

Cyber Crime: ইন্টারনেটে পাওয়া নম্বর নিয়ে রং কোম্পানিকে ফোন, খোয়া গেল পুলিশকর্মীর ২ লাখ ২৪ হাজার
ফেসবুকে কাজের বিজ্ঞাপন দেখে বাড়ি ছেড়ে সমস্যায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। জয়নগর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। মেয়েকে ফিরে পেয়ে স্বস্তিতে পরিবার।

Whatsapp Fraud : বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না মেটালে কেটে দেওয়া হবে লাইন! প্রতারণার ফাঁদে ৬ লাখ খোয়ালেন ব্যক্তি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার তারকেশ্বরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। ফেসবুকে ক্যাটারিং-এর কাজের জন্য ‘মহিলা চাই’ বলে বিজ্ঞাপন দেখে সে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ওই নাবালিকা। যোগাযোগ করলে তাকে ডায়মন্ডহারবারে আসতে বলা হয়।

পুলিশি জেরায় ওই নাবালিকা জানায়, সে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে পৌঁছয়। সেখান থেকে এক যুবক কাজের উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে রওনা দেয়। এরপর জয়নগর ষ্টেশন সংলগ্ন একটি জায়গায় তাকে দাঁড় করিয়ে চলে যায় ওই যুবক। ক্রমশ রাত বাড়তে থাকে। কিন্তু সেই যুবক আর ফেরেনি বলে দাবি নাবালিকার।

এমনকি তার মোবাইলও সুইচ অফ করে দেওয়া হয়। রাত গভীর হলে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করে ওই নাবালিকা। সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে একটি পুলিশের টহলদারি ভ্যান যাচ্ছিল। পুলিশের টহলদারি ভ্যান থেকে ওই নাবালিকাকে ঘুরতে দেখে সন্দেহ করা হয় । এরপর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

Online Fraud : আধাসেনা অফিসার জলের দরে দিচ্ছেন আসবাব, এসি!
নাবালিকার বাবা জানান, “আমার মেয়েকে কে কাজ দেবে বলে নিয়ে গিয়েছিল। আমি বাড়িতে ছিলাম না। বিষয়টি জানতাম না। আমার মেয়েকে তারা জয়নগর স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।” মেয়েকে উদ্ধার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।

জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অভাবের সংসার কিছু উপার্জনের আশাতেই ওই নাবালিকা ওই বিজ্ঞাপন দেখে গিয়েছিল। মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি তার বাবা। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। অনেক ক্ষেত্রেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয় এই সমস্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে এই বিজ্ঞাপন কারা দিয়েছিল ? এদের কোনও বেআইনি কাজের উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version