ফোনালাপের কথা অনুসারেই দশ তারিখ বুধবার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে সকাল দশটা নাগাদ ব্যন্ডেল স্টেশনে নেমে অটো করে রাজহাটে পৌঁছে যান সাগ্নিক ঝাঁ।পুলিশকে তিনি জানিয়েছে সেখানে আগে থেকেই একটি নীল সুইফট ডিজায়ার গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন এক ব্যক্তি। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।সেখানে আগে থেকেই একটি স্করপিও গাড়িতে করে আচমকা কয়েকজন এসে ওই ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামায়। এরপরই ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি।
ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান ওই ব্যবসায়ী সাগ্নিক ঝাঁ। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে গিয়েই পোলবা থানায় অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগ মতো পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল নম্বর ট্রাক করে চুঁচুড়া ফার্ম সাইড থেকে বছর পঁয়তাল্লিশের অভিজিৎ দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করে।এই অভিজিৎই সেদিন ব্যবসায়ীকে ডিজায়ার গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।এই চক্রে আরও কতজন আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ব্যবহৃত মারুতি ডিজায়ার গাড়িটির নম্বর প্লেটও জাল। গাড়িটিতে একাধিক নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হত।
হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন,রাস্তায় একটা ডাকাতি হয়েছিল, অভিযোগ পাওয়ার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রে আরও কয়েকজন যুক্ত আছে। তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে এবং গ্রেফতার করা হবে।