অবশেষে এদিন রাতে লেপার্ড খাঁচাবন্দি হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রাজাভাতখাওয়া চা বাগানের এক শ্রমিক বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে লেপার্ডটি। বাগানের চারজন শ্রমিক জখমও হয়েছেন। রাতে তো বাদই দিলাম, দিনের বেলাতেও বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় লাগছিল।
কখন যে কোনদিক দিয়ে লেপার্ড হানা দেবে বুঝতে পারা যাচ্ছিল না। অবশেষে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়, তারপর তাঁরা খাঁচা বাঁধেন। আর তাতেই ধরা দেয় এই লেপার্ড”। অবশ্য কালচিনি এলাকায় লেপার্ডের হানা নতুন নয়। অনেক সময়েই এখানে তাণ্ডব চালায় লেপার্ড। ধরাও পড়ে। আবার এসে হানা দেয়।
গত বছরেও একবার এই এলাকায় হানা দিয়েছিল লেপার্ড। চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন ভাতখাওয়ার বাসিন্দা লীলা ওরাঁও। প্রত্যেকদিনের মতোই একদিন সকালে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে কাজ করার সময় হঠাৎই একটি লেপার্ড পিছন থেকে আক্রমণ করে তাঁকে।
ঘাবড়ে গেলেও হাল ছাড়েননি লীলা। লেপার্ডের সঙ্গে খালি হাতেই টানা ১০ মিনিট লড়াই করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলার সঙ্গে না পেরে পালিয়ে যায় হিংস্র লেপার্ড। চম্পট দেয় চা বাগান থেকে। প্রাণে বেঁচে গেলেও লেপার্ডের আক্রমণে গুরুতর জখম হন লীলা। বেশ কয়েকমাস চিকিৎসা চলার পর তিনি সুস্থ হন। এছাড়াও একমাস আগেই এই চা বাগানে ফের হানা দেয় লেপার্ড।
চিতাবাঘের হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কালচিনি ব্লকের ভাতখাওয়া চা বাগানের বাসিন্দারা । একদিন সকালে ভাতখাওয়া চা বাগানে ১১ নং সেকশনে চা শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। ঠিক সেসময় একটি লেপার্ড আচমকা চলে আসে। চিতাবাঘ দেখে ভয়ে সমস্ত শ্রমিকরা এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামলান।